Pahalgam Attack :জঙ্গিদের টার্গেটে ছিলেন নরেন্দ্র মোদী ! ভাগ্যিস নিয়েছিলেন এই সিদ্ধান্ত

0
9

পুলিশের কাছে যে সব গোপন তথ্য এসে পৌঁছেছিল, তাতে বৈসরনে সন্ত্রাসবাদী হামলার কোনও তথ্য ছিল না, কারণ এই জায়গায় কখনও সন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপের কোনও সঙ্কেতও পাওয়া যায়নি।

সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে কেন্দ্র। পাকিস্তানকে এখন চরম জবাব দেওয়ার পালা। প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে চলছে পরপর বৈঠক। নৌসেনা প্রধানের পর বায়ুসেনা প্রধানের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন নরেন্দ্র মোদী।

এরই মধ্যে গোয়েন্দাদলের হাতে এসে পৌঁছচ্ছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে খবর, এই হামলা চালানোর আগে সন্ত্রাসবাদীরা আরও অনেক জায়গায় আঘাত হানার চেষ্টা করেছিল।

সবথেকে উদ্বেগের বিষয়, জঙ্গিদের হিটলিস্টে নাকি ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামও। পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার কয়েকদিন আগে, সন্ত্রাসবাদীরা জম্মু কাশ্মীরের অন্য পর্যটন স্থানগুলিতে নজর রেখেছিল। হামলার ছকও কষেছিল। এছাড়া,  উপত্যকার হোটেল, শ্রীনগরের বাইরের এলাকা, দাচিগাম এবং অন্যান্য পর্যটন স্থানেও সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনা হয়।  তদন্তকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে এসে পৌঁছেছে এমনই তথ্য।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনের মতে, জম্মু কাশ্মীর পুলিশের সূত্রে খবর, হামলাকারীদের টার্গেটে ছিল ভূস্বর্গের হোটেল এবং অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলিও। এছাড়া সন্ত্রাসবাদীদের হিটলিস্টে ছিল কাশ্মীরের বাইরে থেকে আসা শ্রমিক, হিন্দু তীর্থযাত্রী এবং কাশ্মীরী পণ্ডিতরাও।  কাশ্মীরের কুলগাম, পুলওয়ামা এবং অন্যান্য স্থানে হামলার ষড়যন্ত্রও করা হয়েছিল। পিটিআই  একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, পহেলগাঁওয়ে হামলার একদিন আগেই উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে চালানো তল্লাশি অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ, প্রধানমন্ত্রী মোদির জম্মু-কাশ্মীর সফর বাতিল হয়ে গিয়েছিল।

‘ বৈসরনে সন্ত্রাসবাদী হামলার গোপন তথ্য ছিল না’
পুলিশ আরও জানিয়েছে , যে সব গোপন তথ্য এসে পৌঁছেছিল, তাতে বৈসরনে সন্ত্রাসবাদী হামলার কোনও তথ্য ছিল না, কারণ এই জায়গায় কখনও সন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপের কোনও সঙ্কেতও পাওয়া যায়নি। আগে কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলাও হয়নি। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ শ্রীনগরের হোটেল এবং পর্যটন স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছিল।  
‘২ জন স্থানীয় সন্ত্রাসবাদী পর্যটকদের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল’ ।

সূত্রের মতে, ২ জন স্থানীয় সন্ত্রাসবাদী আদিল ঠোকার এবং আসিফ শেখ অন্যান্য সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে বৈসরনে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল যাতে কারও কোনও সন্দেহ না হয়। তারা পর্যটকদের খাবারের দোকানেও নিয়ে যাচ্ছিল। এসবই ছিল তাদের ছক, যাতে আরও বেশি মানুষকে খতম করা যায় !  তারাই মানুষকে নানাভাবে বৈসরনে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করে।

‘পহেলগাঁও হামলার আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী ছিলেন টার্গেট’
একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদির ১৯শে এপ্রিল কাটরা থেকে শ্রীনগরের মধ্যে ট্রেন যাত্রার উদ্বোধন করতে জম্মু কাশ্মীরে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাশ্মীর সফর স্থগিত রাখেন।  যখন প্রধানমন্ত্রীর সফর বাতিল হয়ে যায়, তখন সম্ভবত আইএসআই সমর্থিত সন্ত্রাসবাদীরা ত্রালে লুকিয়ে ছিল এবং এর পরে তারা ২২শে এপ্রিল সন্ত্রাসবাদী হামলা চালায় বৈসরনে নিরীহ পর্যটকদের উপর। আরেকজন কর্মকর্তার মতে, সন্ত্রাসবাদীরা পর্যটকদের লক্ষ্য করেছিল কারণ তারা কাশ্মীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতিটাকে এক্কেবারে ভেঙেচুরে দিতে চেয়েছিল তারা। 

Previous articleদেশবাসী যা চাইছেন, তা-ই হবে!  পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রত্যাঘাত নিয়ে ‘সমুচিত জবাবের’ হুঁশিয়ারি রাজনাথের
Next articleMamata Banerjee’হিংসার ঘটনা পরিকল্পিত, ধর্মের নামে ভুল প্রচার বহিরাগতদের’, মুর্শিদাবাদে বললেন মমতা ,দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনও রাজনীতি নয়, মুখ্যমন্ত্রী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here