দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: ওমিক্রনে সংক্রমিত হওয়া আরও এক জনের হদিশ মিলল দিল্লিতে। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে দিল্লিতে ওমিক্রনে সংক্রমিত দ্বিতীয় জনের খোঁজ মিলল।দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন গত রবিবার দিল্লিতে প্রথম ওমিক্রনে সংক্রমিত রোগীর খবর দিয়েছিলেন। শনিবার দিল্লি সরকারের তরফে ওমিক্রনে আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগীর কথা জানানো হল। এই নিয়ে ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৩।
সরকারি সূত্রের খবর, দ্বিতীয় ঘটনার রোগী এই সপ্তাহেই জিম্বাবোয়ে থেকে আসেন দিল্লিতে। ভারতে আসার আগে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন। ওই রোগীর জিনোম পরীক্ষা করে ওমিক্রন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাঁকে দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো ২৭ জন বিদেশি নাগরিকেরই জিনোম পরীক্ষা করানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২৫ জনের ক্ষেত্রে রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এসেছে।
দেশে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক করোনা সংক্রমণ হয়েছে মহারাষ্ট্রে।দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল রাজ্যটি। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যাতেও বাকি রাজ্যগুলোকে ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে মহারাষ্ট্র। দেশে এ পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩। এর মধ্যে ১৭টি কেস মহারাষ্ট্রের। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মুম্বইয়ে ৪৮ ঘণ্টার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন। শনিবার এবং রবিবার মুম্বই কমিশনারেট অঞ্চলের মধ্যে কোনও জমায়েত করা যাবে না। চলবে না কোনও পদযাত্রা কিংবা প্রতিবাদ সভা।
নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, ‘ওমিক্রন থেকে মানব জীবন বাঁচাতে এবং সেই সঙ্গে অমরাবতী, মালেগাঁও এবং নান্দেদে হিংসার পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলার সুষ্ঠু রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হল।’ আইন ভাঙলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা এবং অন্যান্য আইনে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মহারাষ্ট্রে নতুন করে ৭ জনের শরীরে ওমিক্রন পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে তিন জন মুম্বই এবং চার জন পিম্পরি পুরসভা এলাকার। আক্রান্তদের মধ্যে আছে একটি দেড় বছরের শিশু।
জানা গেছে, মুম্বইয়ের তিন জনের বয়স ৪৮, ৩৫ এবং ২৭। তাঁরা যথাক্রমে তানজানিয়া, ব্রিটেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছিলেন। পিম্পরির চার জন এক নাইজেরিয়ান মহিলার সংস্পর্শে এসেছিলেন। ওই বিদেশিনী ওমিক্রনে আক্রান্ত তা ধরা পড়েছিল ৬ ডিসেম্বর। সাত জনের মধ্যে চার জনের কোনও উপসর্গ নেই, তিন জনের মৃদু উপসর্গ দেখা গেছে।
জানা গেছে, চার জনের দু’ ডোজ টিকা নেওয়া, একজনের এক ডোজ এবং একজনের কোনও ডোজ নেওয়া হয়নি। দেড় বছরের শিশুটির টিকাকরণের প্রশ্নই আসে না। এদিকে দিল্লিতে আরও একজনে শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ল। এই নিয়ে রাজধানীতে দ্বিতীয় ওমিক্রনের ঘটনা, সব মিলিয়ে দেশের ওমিক্রন কেস দাঁড়াল ৩৩-এ। জানা গেছে, জিম্বাবোয়ে থেকে ফেরা এক যাত্রীর শরীরে নতুন প্রজাতির ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।
ভারতে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর হদিশ মিলেছে গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে।