দেশের সময় , কলকাতা: ফ্ল্যাট ‘প্রতারণা’কাণ্ডে ‘ধাক্কা’ খেলেন অভিনেত্রী তথা বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। মামলাটি বিচারাধীন ছিল আলিপুর আদালতে। আলিপুর আদালত এই মামলায় অভিনেত্রীকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আলিপুর জজ কোর্টের দ্বারস্থ হন নুসরত। জজ কোর্ট আলিপুর আদালতের নির্দেশ বহাল রাখে। বিচারক জানান, নিম্ন আদালতের নির্দেশে কোনও ভুল নেই। তাই ফ্ল্যাট প্রতারণার মামলায় হাজিরা দিতেই হবে নুসরতকে।
মঙ্গলবার ‘প্রতারিত’দের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে, জজ কোর্টের এই নির্দেশ বহাল রাখার বিষয়টি তাঁরা আলিপুর আদালতে উত্থাপন করবেন।
দু’দিন পর তাঁর বয়ফ্রেন্ড তথা টলি তারকা যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে নতুন ছবি মেন্টাল রিলিজ হওয়ার কথা। তার আগে আদালতে বড় ধাক্কা খেলেন নুসরত জাহান।
বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন অভিনেত্রী। সেই সংস্থা ক্রেতাদের ডাহা ঠকিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠায় ইতিমধ্যে তদন্তও শুরু করেছে ইডি।
এই মামলাতেই মঙ্গলবার বিপাকে পড়লেন নুসরত জাহান। নিম্ন আদালত পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দিল অভিনেত্রীকে কোনও ছাড় দেওয়া যাবে না। তাঁকে সশরীরে হাজিরা দিতেই হবে আদালতে। মঙ্গলবার আলিপুর জজ কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে আলিপুর আদালতে ওই প্রতারণা মামলার যতবার শুনানি হয়েছে, ততবারই নানান কারণ দেখিয়ে নুসরত জাহান হাজিরা দেননি।
‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত। ওই সংস্থা ব্যাঙ্ক কর্মীদের কম দামে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিব। কিন্তু সেই এখনও ফ্ল্যাট তাঁরা পাননি। কিন্তু নুসরত ততদিনে পাম অ্যাভেনিউতে একটি ফ্ল্যাট কিনে ফেলেন। পরে নুসরত স্বীকার করেছিলেন যে তিনি ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে কোম্পানি থেকে কিছু ধার নিয়েছিলেন। পরে তা ফেরত দিয়েছেন।
তবে ঘটনা হল, কোনও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ডিরেক্টর তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে এভাবে ধার নিতে পারেন না। তা আইন বিরুদ্ধ। আবার কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, নুসরতকে সংস্থা কোনও ধার দেয়নি। সব মিলিয়ে ব্যাপারটা বেশ জটিল।
আরও তাৎপর্যপূর্ণ হল, এ ঘটনায় নুসরতের পাশে তাঁর দল কিন্তু দাঁড়ায়নি। বরং জানিয়ে দিয়েছিল, এটা সাংসদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনিই উত্তর দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এখন দেখার আদালতের নির্দেশে নুসরত হাজিরা দিয়ে প্রশ্নের জবাব দেন, নাকি হাইকোর্টে আবেদন করার পথে হাঁটেন।