দেশের সময়, পেট্রাপোল : “আগামীতে অনেক বড় সীমান্ত শহর হিসাবে উঠে আসবে পেট্রাপোল। তৈরি হবে নতুন রেল স্টেশন। কলকাতার সঙ্গে জুড়বে মেট্রো।” বাংলাদেশে অশান্তির আবহে যখন সবথেকে বেশি উদ্বেগ সীমান্ত নিয়ে তখন পেট্রাপোল নিয়ে বড় ইঙ্গিত পূর্ণ কথা বলে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি-র রেইজিং ডে উপলক্ষে শিলিগুড়িতে হয় বিশেষ অনুষ্ঠান। এসেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পেট্রাপোল সুসংহত চেকপোস্টের মধ্যে বিএসএফ জওয়ানদের জন্য তৈরি হল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা যুক্ত আবাসনের। শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শিলিগুড়িতে থেকে ভার্চুয়াল-উদ্বোধন করেন। সুসংহত চেকপোস্টের এই উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক স্বপন মজুমদার এবং বনগাঁ পুরসভার কাউন্সিলর দেবদাস মণ্ডল। ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার পেট্রাপোলের ম্যানেজার কমলেশ সাইনি এবং বিএসএফ কর্তারাও ছিলেন।
এদিন শিলিগুড়িতে সশস্ত্র সীমা বলের (এসএসবি) একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন শাহ। সেখান থেকেই তিনি বিএসএফ আবাসনের উদ্বোধন করেন। জায়ান্ট স্ক্রিনে তা দেখানোর ব্যবস্থা ছিল পেট্রাপোলে সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন শান্তুনু ঠাকুর।
এদিন কলকাতা-পেট্রাপোল মেট্রোরেল চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানান শান্তনু। বলেন, ‘‘আমরা কলকাতা থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত মেট্রো রেল চালানোর পরিকল্পনা করছি। এ বিষয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কিছু জায়গায় জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যা আছে। আশা করছি, সমস্যা মিটে যাবে। পেট্রাপোল থেকে বাগদা পর্যন্তও ট্রেন চালানোও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’’
শান্তনু আরও বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যে ভাবে পেট্রাপোল বন্দরের উন্নয়ন করছে, তাতে আগামী দিনে পেট্রাপোল সিটি তৈরি হয়ে যাবে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিএসএফ জওয়ানদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। তবে বিএসএফের উপরে আমাদের ভরসা আছে।’’
ভারত বাংলাদেশের বন্ধু ছিল, বাংলাদেশ চাইলে আগামীতেও থাকবে বলে এ দিন মন্তব্য করেন শান্তনু। বলেন, ‘‘ও দেশে এখন কোনও সরকার নেই। মৌলবাদী-জেহাদিরা উসকানি দিচ্ছে। ভারতকে টুকরো করতে চাইলে ভারত সরকার পদক্ষেপ করবে। তবে ভারত আগে থেকে কোনও পদক্ষেপ করবে না।’’
ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার পেট্রাপোলের ম্যানেজার কমলেশ সাইনি বলেন, ‘‘৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় সাড়ে তিন একক জমির উপরে নতুন আবাসনটি তৈরি হয়েছে। আধুনিক আবাসনে যে ধরনের সুবিধা থাকে, এখানেও তাই থাকছে।’’ বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে,
পেট্রাপোল সুসুহত চেকপোস্ট দিয়ে বছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয় বাংলাদেশের সঙ্গে। পাশাপাশি, বছরে এখানে দিয়ে দু’দেশের মধ্যে বছরে প্রায় ২২ লক্ষ মানুষ পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে যাতায়াত করেন। স্বাভাবিক ভাবেই, সুসংহত চেকপোস্টের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, বিএসএফ জওয়ানদের জন্য আধুনিক থাকার ব্যবস্থা করার ফলে তাঁরা আরও ভাল ভাবে কাজ করতে পারবেন।