দেশের সময় : মধ্যবিত্তের মাথার উপর থেকে করের বোঝা সরিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। তৃতীয় মোদী সরকারের এবারের বাজেটে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর শূন্য করে দেওয়া হল। এতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি মধ্যবিত্তরা। যাঁরা চাকরিজীবী এবং বছরে ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন, নতুন স্লাবে তাঁদের আর কোনও আয়কর দিতে হবে না।
কারণ, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়াল ৭৫ হাজার টাকা। মধ্যবিত্তের আয়করে বিশাল ছাড় দেওয়ায় দেশজুড়ে খুশির হাওয়া। এই বাজেটের মধ্যে দিয়ে গোটা দেশের মধ্যবিত্তের মন জয় করে নিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। নজিরবিহীন এই বাজেটে সাধারণ মানুষের হাতে টাকা থাকবে। ফলে বেশি করে তারা কেনাকাটা করতে পারবেন। এতে বাজারের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
যদিও একটা প্রশ্ন উঠছে, ইনকাম ট্যাক্স থেকে ছাড় পাওয়ার জন্য এতদিন মধ্যবিত্তদের মধ্যে যে সেভিংসের প্রবণতা ছিল, সেটা কি এখন ধাক্কা খাবে? কারণ, এমনিতেই তো ইনকাম ট্যাক্স ছাড় পাওয়া যাবে, সেক্ষেত্রে আর জমানোর ইচ্ছে কি থাকবে মধ্যবিত্তের মধ্যে? বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার অবশ্য বলছেন, মানুষের হাতে টাকা থাকলে তারা যেমন বেশি করে জিনিসপত্র কিনবেন, যত বেশি সামগ্রী বিক্রি হবে, জিএসটির মাধ্যমে তত বেশি রেভিনিউ আয় হবে দেশের।
আর তাছাড়া টাকা হাতে থাকলে সবাই যে শুধু কেনাকাটা করবেন, কোনও সঞ্চয় করবেন না এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। বরং বলা যেতে পারে, স্টক মার্কেটে অর্থাৎ শেয়ার বাজারে লগ্নি অনেকটাই বেশি হবে। যদিও অর্থনীতিবিদদের একাংশের বক্তব্য, স্টক মার্কেট কখনও সঞ্চয় হতে পারে না। এটা ইনভেস্ট। তাছাড়া ওভার ভ্যালু হয়ে গিয়ে যে কোনও সময় মার্কেট ক্র্যাশ করতে পারে।