Scientists in Wuhan have warned of a new variant of coronavirus—NeoCov, currently circulating in South Africa. The New strain reportedly related to the Middle East respiratory syndrome MERS-COV. According to a report by the Russian news agency Sputnik. NeoCoV which was first found in bats in South Africa have a high death and transmission rate.
দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ যত কান্ড উহানেই! চিনের এই শহরটির নামেই যেন আতঙ্ক। প্রায় দুবছর ধরে সারা পৃথিবীকে বদলে দেওয়া করোনাভাইরাসের আঁতুরঘর নাকি এই উহানই। ফের চর্চায় এসেছে সেই শহর। আবারও এক ভয়ংকর তথ্য মিলল এখান থেকেই।
রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা স্পুটনিক দাবি করেছে, ফের করোনাভাইরাসের নতুন এক স্ট্রেন ‘নিওকভ’-এর খোঁজ মিলেছে এই উহান শহরেই। সেখানকার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই নাকি ছড়াতে শুরু করেছে এই নতুন নিওকভ। শুধু তাই নয়, মৃত্যুর বিপদের দিক থেকে এই নতুন স্ট্রেন অন্যগুলিকে ছাপিয়ে গিয়েছে! গড়ে ৩ জন সংক্রমিত ব্যক্তির মধ্যে এক জন করে মারা যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা, সতর্ক করেছেন এ বিষয়ে।
স্পুটনিক এ-ও স্পষ্ট করেছে, রিপোর্ট অনুযায়ী এই নিওকভ নতুন ভাইরাস নয়। এটি মূলত মার্স-কভ ভাইরাসের সঙ্গে যুক্ত। এর আগেও এই ভাইরাসটির সংক্রমণ হয়েছে। ২০১২ এবং ২০১৫ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে মিলেছিল এই সংক্রমণ। এটি কোভিডের ভাইরাস সার্স-কভের মতোই, যা মানুষের শরীরে করোনভাইরাসের সংক্রমণ তৈরি করে।
দক্ষিণ আফ্রিকার একটি বাদুড় প্রজাতির মধ্যে সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত হয় এই নিওকভ। সে সময়ে শুধুমাত্র এই জাতীয় প্রাণীদের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছিল এটি। কিন্তু এবার এটি মানুষের শরীরে মিলেছে বলেও জানিয়েছেন উহানের বিজ্ঞানীরা, এমনটাই বলছে স্পুটনিক।
রাশিয়ান স্টেট ভাইরোলজি এবং বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারের বিশেষজ্ঞরা গতকাল, বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, বৈজ্ঞানিকরা রীতিমতো উঠে পড়ে কাজ শুরু করেছেন নিওকভ নিয়ে। এর ক্ষতিকারক দিকগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এখনও অনেক গবেষণা ও পরীক্ষা বাকি।
উহান ইউনিভার্সিটি, চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস, ইনস্টিটিউট অফ বায়োফিজিক্সের গবেষকদের মতে, মানুষের কোষে এই ভাইরাস ঢুকে পড়তে পারবে কেবল আর একটি মিউটেশন হলেই। এই ভাইরাসে সংক্রমিত হলে শ্বাসকষ্ট হবে প্রধান উপসর্গ। খুব সহজেই সবরকম অ্যান্টিবডি ভেঙে ফেলতে পারবে নিওকভ। বাড়বে মৃত্যুহার।