অর্পিতা বনিক, বনগাঁ :বিধি মেনে মাধ্যরাত্রিতে শ্রীকৃষ্ণ জন্মতিথি পালন থেকে শুরু করে পরের দিন হয় নন্দ উৎসব। জন্মাষ্ঠমীর ঠিক পরের দিনই ভারতবাসী মেতে ওঠেন এই উৎসবে। গোকুল রাজ নন্দ হলেন শ্রীকৃষ্ণের পালিত পিতা। পুরাণ কাহিনী অনুযায়ী কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল রাতে। নন্দ সেই আনন্দ উৎসব উদযাপন করেছিলেন পরের দিন সকালে।
সেই খবর শুনে সমস্ত গোকুলবাসী সেদিন মেতে উঠেছিলেন আনন্দে। কংসের হাত থেকে তাঁর প্রজাদের রক্ষা করতে মাতা দেবকীর কোলে বিষ্ণু অষ্টম অবতার রূপে জন্ম নেন। শোনা যায়, বাসুবেদ কৃষ্ণকে নন্দরাজের কাছে রেখে আসার পর গোকুলে কৃষ্ণের আবির্ভাব উপলক্ষে নন্দ উৎসবেই প্রথম খাওয়া হয়েছিল তালের বড়া। কৃষ্ণের অতি প্রিয় এই খাবারটি ভালোবাসেন সকলেই। দেখুন ভিডিও
খাদ্য রসিকদের কাছে এই উৎসব কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নন্দ উত্সবের দিন যে ধরনের লোভনীয় প্রসাদ তৈরী করা হয় সেটি এড়িয়ে যাওয়ার সাধ্য কারোর নেই।
গোকুলে কৃষ্ণ এসেছিলেন তাঁর কাছে ৷ সেই আনন্দে জন্মাষ্টমীর পরদিন নন্দ উৎসব করেছিলেন যাদবরাজ নন্দ বা নন্দগোপ ৷ বাচ্চা ছেলেমেয়েদের তাদের পছন্দমতো খাওয়াতেন তিনি ৷ হাজার হাজার বছর ধরে সেই রীতি আজও পালিত হয়ে আসছে ৷ জন্মাষ্টমীর পর দিন নন্দোৎসবে কচিকাঁচাদের পাতে পড়ে তালের বড়া, তালক্ষীর, তালের পুলি, তালের লুচির মতো লোভনীয় খাবার ৷
এই উৎসবে মাততে মুখিয়ে থাকেন গোটা ভারতবাসী ৷ নন্দ উৎসব উপলক্ষে বনগাঁর ঠাকুর হরিদাস স্কন মন্দিরেও মহাসমারোহে পালিতহয় এই উৎসব৷ পাশাপাশি এই শহরের প্রায় ঘরেই একই সঙ্গে নন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন স্থানীয় মানুষ ৷ মতিগঞ্জ এলাকার ‘দে ‘পরিবারের সদস্যরাও এদিন সান্ধ্যকালিন ‘সংকীর্তন’ পুজা পাঠ শেষে প্রসাদ বিতরণের মধ্যদিয়ে মহাসমারোহে প্রতি বছরের মতো এবছরেও নন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন ৷