দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কলকাতা থেকে জেলা, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আকাশে আচমকা দেখা গেল অদ্ভুত আলো। আর তা ঘিরেই ঘনাচ্ছে রহস্য। ওই আলো ঘিরে সাধারণ মানুষের মনে তৈরি হয়েছে কৌতূহল।
এদিন রাজ্যের নানা প্রান্তে আকাশে দেখা গেছে আশ্চর্য এক আলোর রশ্মি । যেন কেউ টর্চ জ্বেলে রেখেছে! বাঁকুড়া, কালনা, বসিরহাট, ঘাঁটাল– বিভিন্ন জায়গায় এই আলো দেখে চমকে গেছেন সকলে। হইহই পড়ে যায় এলাকায় এলাকায়। ‘ইউএফও’ কিনা, সেই জল্পনাও শুরু হয়ে যায় ওই মুহুর্তে ৷
বিকেল ৫:৪৭ মিনিট নাগাদ বাঁকুড়ার দক্ষিণ আকাশে, অনেকটা ওপর দিকে এই উজ্জ্বল আলো দেখা যায়। প্রায় তিন মিনিট ধরে দেখা যায় এই আলো। ৫:৫০ মিনিট নাগাদ মেঘে ঢেকে যায় এই আলো। তবে নিভে যায়নি। লোকজনের মধ্যে হইহই শুরু হয়ে যায়। সবাই ছাদে উঠে পড়ে, রাস্তায় নেমে আসে।
আলোটিকে একটি নির্দিষ্ট গতিপথে ছুটতেও দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন অনেকে। বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে ওই আলোটিকে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানিয়েছেন, ওই আলো চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতো ছিল না। তবে সেই আলো ছিল বেশ স্পষ্টও।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ছবিটাও একই। সবেমাত্র সন্ধে নেমেছে, হঠাত মানুষের মধ্যে আলোড়ন, কী যেন একটা আলো দেখা গেছে পুবের আকাশে। টর্চের মতো ওই আলো দেখে অনেকেই বলতে শুরু করেন, ধূমকেতু নয় তো! কেউ কেউ আবার বলেন, ড্রোন ওড়ানো হচ্ছে বিশেষ কারণে। কিন্তু একটু সময় গড়ালেই স্পষ্ট হয়ে যায়, এই আলো বিভিন্ন জেলা থেকেই দেখা যাচ্ছে। এটি ধূমকেতু নয় বলেই মনে হচ্ছে, কারণ গতি নেই আলোটির। টর্চের মতো জ্বলে রয়েছে স্থির আলো।
একই দৃশ্য কালনা, ক্যানিং ইত্যাদি নানা জায়গায়। কলকাতার নিউটাউনের আকাশেও দেখা গেছে এই আলো। একটি সূত্রে জানা যায়, এটা নাকি অগ্নি-ফাইভ মিসাইলের আলো। টেস্টিং লঞ্চ ছিল চাঁদিপুর থেকে। তবে এই দাবিও খারিজ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এমনকি এই আলো দেখা গেছে উত্তরবঙ্গের আকাশেও। ময়নাগুড়ি, শিলিগুড়ি এলাকার লোকজনও হইহই করে ছাদে-পথে পৌঁছন আলো দেখতে।
তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানী মহলেও এই আলো নিয়ে ধন্দ রয়েছে। এটি উল্কাপাত নয় বলেই মনে করছেন তাঁরা। আবার মিসাইল বা ড্রোনের আলো বলেও মনে হচ্ছে না। ভেঙে যাওয়া রকেটের আলো হলেও হতে পারে।