দেশের সময় ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ১০৮টি পুরসভার ভোট গণনা। এর আগে চারটি পুরসভার নির্বাচনে চারটিই দখলে রাখতে পেরেছে শাসকদল। ১০৮টিতে একই প্রবণতা। রাজ্য জুড়ে অব্যাহত সবুজ ঝড়।
বনগাঁ পুরসভার ভোটগণনা চলছে দীনবন্ধু মহা বিদ্যালয়ে। ইতিমধ্যে বনগাঁর মোট ২২ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩ নং ওয়ার্ডে গোপাল শেঠ এগিয়ে ৪৪৯ ভোটে, ১৭ নং ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী ঋতু পর্ণা আঢ্য এগিয়ে , ৭ নং ও ১৮ ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন৷ অন্যান্য ১টি তে এগিয়ে৷ সেখানে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী। আছেন পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টরাও পৌঁছেগেছেন৷ গণনাকেন্দ্রে সামনে কর্মী সমর্থকদের ভীড়।
উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত পুরসভার দখল নিল তৃণমূল। মোট ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল ৩০টি ওয়ার্ড, সিপিএম ৩টি (১২, ১৭ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ড) ও নির্দল প্রার্থীরা ২টি (১৮ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ড) ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন।
গোবরডাঙ্গা পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি তৃণমূল ও ১টি নির্দল ও ১টি সিপিএম
অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার মোট ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টি ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল। ১টি ওয়ার্ডে জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থী ও ২টি ওয়ার্ড গিয়েছে সিপিএমের দখলে।
রিষড়া পুরসভায় মোট ২৩টি ওয়ার্ড। তার মধ্যে তৃণমূল একাই জিতেছে ১৮টি ওয়ার্ডে। বিজেপি জিতেছে ২টি (১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড) ওয়ার্ডে এবং কংগ্রেস জিতেছে ২ নম্বর ওয়ার্ডে।
খড়গপুরের ৩৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একাই জয়ী ২০টি আসনে। কংগ্রেস ও বিজেপি পেয়েছে ৬টি করে ওয়ার্ড। বামেরা পেয়েছে ২টি ওয়ার্ড এবং নির্দল প্রার্থী জিতেছেন একটি ওয়ার্ডে। এই লোকসভা কেন্দ্র থেকেই জিতেছেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ভাটপাড়া পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৪টি ওয়ার্ডেই তৃণমুল জয়লাভ করেছে। এর মধ্যে একটি ওয়ার্ডে সিপিএমের প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ভোট হয়নি।
দার্জিলিং পুরসভায় ১৮টি ওয়ার্ড জিতে বোর্ড গড়ছে হামরো পার্টি। অনীত থাপার বিজিপিএম জিতেছে ৮টি ওয়ার্ড। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা জিতেছে ৪টি ওয়ার্ড এবং তৃণমূল প্রার্থীরা জিতেছেন ২টি ওয়ার্ডে।
জলপাইগুড়ি পুরসভায় তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা।
মুর্শিদাবাদের লালবাগ পুরসভার মোট ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টি ওয়ার্ড জিতল তৃণমূল। ৬টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। একটি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন নির্দল প্রার্থী। খাতা খুলতে পারেনি কংগ্রেস, সিপিএম।
কান্দি পুরসভার মোট ১৮ টি ওয়ার্ড। তৃণমূল জিতেছে ১৬টি (১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,১০,১১,১২,১৩,১৫,১৬,১৭,১৮ নম্বর ওয়ার্ড) ওয়ার্ড। নির্দল প্রার্থীরা জিতেছেন ২টি (৯ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড)। শূন্য কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি।
কান্দি পুরসভার মোট ১৮ টি ওয়ার্ড। তৃণমূল জিতেছে ১৬টি (১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,১০,১১,১২,১৩,১৫,১৬,১৭,১৮ নম্বর ওয়ার্ড) ওয়ার্ড। নির্দল প্রার্থীরা জিতেছেন ২টি (৯ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড)। শূন্য কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি।
কাঁথি পুরসভার পূর্ণাঙ্গ ফলাফল
কাঁথি পুরসভার পূর্ণাঙ্গ ফলাফল
- ১। জয়ী – সেক সাবুল (তৃণমূল) (১,১৪৭ ভোট)
- ২। জয়ী – শঙ্কর দাস (তৃণমূল) (১,১০২ ভোট)
- ৩। জয়ী – সঞ্চয়িতা জানা (তৃণমূল) (৩১৯ ভোট)
- ৪। জয়ী – আলেম আলি খান (তৃণমূল) (৫০১ ভোট)
- ৫। জয়ী – দেবাশিস পাহাড়ি (তৃণমূল) (১,০৫৫ ভোট)
- ৬। জয়ী- রিনা দাস (তৃণমূল) (৭৭ ভোট),
- ৭। জয়ী – অতনু গিরি (তৃণমূল) (২০০ ভোট)
- ৮। জয়ী – নিরঞ্জন মান্না (তৃণমূল) (৪৭৮ ভোট)
- ৯। জয়ী – লীনা দাস (তৃণমূল) (৪৫৪ ভোট)
- ১০। জয়ী- অরূপ দাস (বিজেপি) (১৯২ ভোট)
- ১১। জয়ী – সুময় দাস (নির্দল) (১৯ ভোট)
- ১২। জয়ী – পম্পা জানা (তৃণমূল) (৮৫৬ ভোট)
- ১৩। জয়ী – সুপ্রকাশ গিরি (তৃণমূল) (২৫২ ভোট)
- ১৪। জয়ী- সুবল মান্না (তৃণমূল) (৭৬৮ ভোট)
- ১৫। জয়ী – তনুশ্রী চক্রবর্তী (তৃণমূল) (২২৮ ভোট)
- ১৬। জয়ী- রুমা দাস (তৃণমূল) (৬৮২ ভোট)
- ১৭। জয়ী- দুলাল রায় (বিজেপি) (১৮৮ ভোট)
- ১৮। জয়ী – সুশীল দাস (বিজেপি) (৭১৯ ভোট)
- ১৯। জয়ী – নিত্যানন্দ মাইতি, (তৃণমূল)
- ২০। জয়ী- শ্রাবনী পাল (তৃণমূল)
- ২১। জয়ী- সন্দীপ জানা (তৃণমূল)
কৃষ্ণনগর পুরসভার ফলাফল— (মোট ওয়ার্ড— ২৫)
তৃণমূল— ১৬
কংগ্রেস— ৪
নির্দল— ৪
বিজেপি— ১
বাঁকুড়ার সোনামুখী পুরসভায় মোট ১৫টি আসন। তার মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ৯ টি ওয়ার্ড নম্বর (১,২,৩,৬,৭,১০,১২,১৩,১৪ নম্বর ওয়ার্ড), সিপিএম জিতেছে দু’টি (৫ ও ৮ নম্বর) ওয়ার্ডে। নির্দল প্রার্থীরা ৪টি (৪,১১,১৫,৯ নম্বর ওয়ার্ড) ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পুরসভায় মোট ১৭টি ওয়ার্ড। ১৭টি ওয়ার্ডেই জয়ী তৃণমূল। বিরোধীরা শূন্য।
মেদিনীপুর পুরসভায় তৃণমূল জিতেছে ২০টি ওয়ার্ডে, সিপিএম ৩টি ওয়ার্ডে, কংগ্রেস ও নির্দল প্রার্থী জিতেছেন একটি করে ওয়ার্ডে।
গঙ্গারামপুর পুরসভার ১ নম্বর থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা।
মহেশতলা পুরসভায় তৃণমূল এগিয়ে ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে। কংগ্রেস এগিয়ে ৮, ১২, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে। বামেরা এগিয়ে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে।
দিনহাটা ছাড়া বাকি ১০৭টি পুরসভার ভোটগণনা হচ্ছে বুধবার। ভোটগ্রহণ হয়েছিল গত রবিবার। ১০৮ পুরসভায় মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ২২৭৭। এর মধ্যে ১০৩টিতে শাসকদল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে। আরও তিনটি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হয়নি। তিনটিই উত্তর ২৪ পরগনায়। আইনি জটিলতায় ভোট হয়নি ভাটপাড়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। প্রার্থীর মৃত্যুতে ভোট স্থগিত হয়ে যায় দমদমের ৪ নম্বর এবং দক্ষিণ দমদমের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে।
রাজ্যে ২০ জেলার ১০৮ পুরসভার ভোট পর্ব চূড়ান্ত হতে চলেছে। এর মধ্যে ৪টি পুরসভা অবশ্য ইতিমধ্যেই দখল করে ফেলেছে শাসকদল তৃণমূল।এগুলি হল কোচবিহারের দিনহাটা (১৬টি ওয়ার্ডের ১৬টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল), দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ (২০টি ওয়ার্ডের ১৮টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী), বীরভূমের সিউড়ি (২১টি ওয়ার্ডের ১৬টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী) এবং সাঁইথিয়া (১৬টি ওয়ার্ডের ১৪টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল)।
কোচবিহার পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল জয়ী, ২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী জয়ী এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী।
নবদ্বীপ পুরসভার ১, ২, ৩, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী।
কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ পুরসভায় ১ থেকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা।
পুরাতন মালদহে পুরসভার প্রাক্তন পুর প্রশাসক বশিষ্ঠ ত্রিবেদী ৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী। এ ছাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল জয়ী। একটি ওয়ার্ডে জয়ী বিজেপি প্রার্থী।
রামপুরহাট পুরসভার ১৩টি ওয়ার্ডে ভোট হয়েছে। তার মধ্যে ১১টিতে এগিয়ে তৃণমল। একটি কংগ্রেস আর একটি ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী।
কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি পুরসভায় জয়ী তৃণমূল।
কালনা পুরসভায় ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৪১৭ ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সুনীল চৌধুরী। ২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী সিপিএম প্রার্থী শর্মিষ্ঠা নাগ সাহা, ব্যবধান ১৭৫ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের সমরজিৎ হালদার ৮২৮ ভোটে জয়ী। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে চন্দনা বিশ্বাস তৃণমূল প্রার্থী ১,১৭৫ ভোটে জয়ী।
কালনা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী সিপিএম প্রার্থী শমিষ্ঠা নাগ। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সমরজিৎ হালদার। ১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সুনীল চৌধুরী।
বর্ধমান পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী সুমিতকুমার শর্মা ৯,১৩৬ ভোটে জয়ী।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পুরসভা দখলের পথে তৃণমূল। মোট ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল ৮টি ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল, এগিয়ে ৭টি ওয়ার্ডে। কংগ্রেস এগিয়ে ১টি ওয়ার্ডে।
বাঁকুড়া পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃনমূল প্রার্থী রাজীব দে ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃনমূল প্রার্থী অপর্ণা চ্যাটার্জী।
আপডেট জানতে পেজটি রিফ্রেশ করতে থাকুন…