দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সিবিআই আধিকারিকদের ‘ভদ্রতায় মুগ্ধ’ মিসেস মলয় ঘটক। মন্ত্রীর বাড়ি ‘এই রকম’ হতে পারে তা ভাবতেই পানেননি তদন্তকারীরা! বুধবার কয়লা পাচারকাণ্ডে রাজ্য়ের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই । এর মধ্যে আসানসোলের -এ রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িও ছিল।
এদিন সকাল আটটা ১৫ মিনিট নাগাদ তদন্তকারীদের একটি দল রাজ্যের মন্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করে। এর মধ্যে কয়েক ঘণ্টায় চলে বিস্তর জল্পনা। মাঝে এক চাবিওয়ালাকেও বাড়়ির ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা যায়। এদিকে মলয় ঘটকের শ্যালিকা খবর পেয়ে বাড়ির দোরগোড়া পর্যন্ত পৌঁছলেও তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বুধবার বেলা ১টা নাগাদ এই মন্ত্রীর বাড়ি ছাড়েন তদন্তকারীরা।
এরপরেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন মলয় ঘটকের স্ত্রী সুদেষ্ণা ঘটক। প্রায় চার ঘণ্টা তল্লাশি। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সুদেষ্ণা ঘটক বলেন, “ওঁরা এসে সব দেখলেন। বললেন, ভাবতে পারিনি এটা মন্ত্রীর বাড়ি হতে পারে। আমাদের সঙ্গে ভীষণ ভালো ব্যবহার করলেন। শুধু তাই নয়, বললেন আমার ব্যবহার ভীষণ ভালো।” চাবিওয়ালার ঘরের ভেতরে প্রবেশ প্রসঙ্গে সুদেষ্ণা ঘটক বলেন, “চাবিওয়ালাকে আমি ডেকেছিলাম। কারণ, কিছু আলমারির চাবি হারিয়ে গিয়েছিল। ওই নতুন চাবি দিয়ে আলমারি খুললাম।”
মন্ত্রী-পত্নী আরও বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম, কী না না কী করবে! কিন্তু ওঁনারা ভীষণ ভাল ব্যবহার করেছেন। আমিও ওঁনাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেছি।”
মলয় ঘটকের বাড়ি থেকে কী কিছু নিয়ে গেলেন তদন্তকারীরা?
এই প্রশ্নের জবাবে তাঁর স্ত্রী বলেন, “আপনারা কি কিছু দেখলেন তাঁদের হাতে? মিথ্যে কথা বলব না ওঁরা খুবই ভদ্র।” এই সময়ে স্বামীর সঙ্গে কথা হয়নি বলেও জানান মন্ত্রী-পত্নী। তাঁর কথায়, “আমি শিক্ষকের মেয়ে। নিয়ম মেনে চলি।মার বাড়ি লোকরা এসেছিলেন। ওঁরা প্রশ্ন করেছিলেন ভেতরে ঢুকতে দেবেন কিনা। কিন্তু, আমি বললাম না স্যার। যা নিয়ম তাই করুন। ওরা বারবার বলছিল এটা একটা মন্ত্রীর বাড়ি ভাবতেই পারছি না।”
তবে হ্যাঁ ওনারা প্রচুর লেখালেখি করছিলেন। বলছিলেন, ম্যাডাম আপনার বাড়ি থেকে আমরা কিছু যে নিইনি সেটারও প্রমাণ রাখতে হবে। সেই সব কাগজে আমাকে দিয়ে সই করিয়েছেন ওঁনারা।”
উল্লেখ্য, এদিন মলয় ঘটকের বাড়িতে তল্লাশি চলাকালীন বাইরে ‘তৃণমূল জিন্দাবাদ’ স্লোগান ওঠে। জানা গিয়েছে, আসানসোলে মলয় ঘটকের দু’টি বাড়িতে অভিযান চালান তদন্তকারীরা। কয়লা পাচারকাণ্ডে এর আগেও মলয় ঘটককে তলব করেছিল ইডি। কিছুদিন আগেই এই মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁকে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।