সুপ্রকাশ চক্রবর্তী, কলকাতা: বিশ্বকাপ ২০২৩ এ ভারত এবং বিজয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে ছিলেন ট্রাভিস হেড। এই বিখ্যাত ক্রিকেটার অনেক ভারতীয়ের হৃদয় ভঙ্গ করলেও জিতে নিয়েছেন এক ভারতীয় তরুণীর মন।

ট্রাভিসের পারফরম্যান্স তাকে এতটাই ভালো লেগেছে যে ঐ তরুনী ও কলকাতার বিখ্যাত মডেল হেমশ্রী ভদ্র তার সোশ্যাল মিডিয়ার ফলোয়ারদের সামনেই সিঁদুর পরে তাকে ভার্চুয়াল বিয়ে করেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

দেশদ্রোহী তকমা দিয়ে মডেলকে প্রাণঘাতী হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হেমশ্রী। তিনি জানান, বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরমেন্সের পর ট্রাভিস তার মন জয় করে নিয়েছিল। ঠিক বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরেই টিভির সামনে থেকে উঠে গিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে তাই ট্রাভিসকে ভায়ার্চুয়াল বিয়ে করে ফেলি। সেই ভিডিও পোস্ট করতেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

তিনি বলেন,ভিডিওটি ‘আমার খুব খারাপ লাগলো এটা দেখে যে আমাকে একের পর এক নেটিযেনদের অশ্লীল মন্তব্যের সম্মুখীন হতে হচ্ছে, প্রাণঘাতী হুমকিও আসছে।
কিন্তু সত্যিই কি বিশ্বকাপ এক লড়াই ?

আমরা ছোটবেলায় পড়েছি দেশে দেশের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ বাড়ানোর জন্যই এই ধরনের খেলার ব্যবস্থা করা হয়। তবে আজকের মানুষ কেন এত প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে উঠছে ? সাধারণ বুদ্ধির কি বড়ই অভাব ঘটছে এদের মধ্যে? একটি খেলাতে হেরে যাওয়া নিয়ে এত আক্ষেপ এবং একটি সাধারণ ঘটনাকে নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করা !

যদি অস্ট্রেলিয়ার একজন ক্রিকেটারকে সমর্থন করলেই দেশদ্রোহী হয়ে যেতে হয় তবে তো খুব অদ্ভুত সময়ে আমি বাস করছি বলতে হবে। লক্ষ লক্ষ লোক আমায় ভিডিওটি সরিয়ে নিতে বললেও আমি মোটেই ভিডিওটি সরাবো না। বরং হয়তো আমি আরো এরকম ভিডিও বানাবো। তিনি আরো জানান ট্রাভিস এর ফলোয়ার্স ২.২ লক্ষ এর মতো। আমার ৭.২ লক্ষ।আমি ট্রাভিস কে ট্যাগ করেই ভিডিও আপলোড করেছি। ওনার খারাপ লাগলে উনি ট্যাগ রিমুভ করে দিতেন। অথবা আমায় সরাসরি ম্যাসাজ করতেন। কিন্তু তা তো করেননি। কিন্তু যত সমস্যা হচ্ছে কিছু দর্শকের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here