দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা ভোটের আগে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে গিয়ে গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিকে মতুয়া ধর্মগুরু গুরুচাঁদ ঠাকুরের জন্মভিটেয় যান প্রধানমন্ত্রী। বাংলায় ভোটের মুখে প্রধানমন্ত্রীর ওড়াকান্দিতে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এবার বাংলাদেশ থেকে এল গুরুচাঁদ ঠাকুরের ব্যবহার করা পালঙ্গ বা খাট। ফের প্রশ্ন উঠল বিরোধী শিবির থেকে।
শনিবার দুপুরে পেট্রাপোল বন্দরে ডঙ্কা, কাঁশি নিয়ে গুরুচাঁদ ঠাকুরের ব্যবহার করা খাট নিয়ে ঠাকুরনগরের উদ্দেশ্য রওনা দেন মতুয়া ভক্তরা। দুশো বছরের পুরনো ওই খাট আনতে দুপুরের পরেই পেট্রাপোল বন্দরে পৌঁছে যান শান্তনু ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুর ও বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া।
সমাজের পিছিয়েপড়া সম্প্রদায়ের শিক্ষার প্রসারে গুরুচাঁদ ঠাকুরের অবদান ছিল গুরুচাঁদ ঠাকুরের। সেই পতিত পাবন গুরুচাঁদ ঠাকুরের খাট বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনায় খুশি মতুয়া ভক্তরা।
বাংলাদেশের তরফ থেকে মতুয়া ধর্মের পদ্মনাভ ঠাকুর জানান, ঠাকুরনগরে গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে একটি মিউজিয়াম তৈরি হবে। সেই কারণে গুরুচাঁদ ঠাকুরের এই খাট আমরা ভারতের মতুয়া মহাসংঘের হাতে তুলে দিচ্ছি।
অন্যদিকে বনগাঁ লোকসভার সংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, অবশেষে, শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের ব্যবহার করা পালঙ্গ (খাট) বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে পৌঁছেছে। মতুয়া সমাজের কাছে এ এক বড় পাওয়া। এমন অমূল্য সম্পদ আমরা পূনরায় ঠাকুর পরিবারের হস্তক্ষেপে পেয়ে খুবই সৌভাগ্যবান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ঠাকুরনগরে ঠাকুরের নামে একটি মিউজিয়াম তৈরি হবে। আমরা সেই মতো প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ থেকে গুরুচাঁদ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই পালঙ্গ (খাট) ভারতে নিয়ে এলাম। আগামীতে গুরুচাঁদ ঠাকুরের ব্যবহৃত আরও সামগ্রী ভারতে নিয়ে আসা হবে। সকল মতুয়া ভক্ত এবং জনসাধারণের জন্য এই পালঙ্গ দর্শন করার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
এই বিষয়ে বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গোপাল শেঠ বলেন, এই খাটটি প্রমথরঞ্জন ঠাকুরের না গুরুচাঁদ ঠাকুরের তা আমাদের জানা নেই। যদি গুরুচাঁদ ঠাকুরের খাট হয়ে থাকে তবে সেই খাট এই দেশে নিয়ে এলে সেটা ভালো। কিন্তু শান্তনু ঠাকুর যদি ভেবে থাকেন এই খাট এনে তিনি মতুয়া ভক্তদের বিজেপির পক্ষে থাকতে বলবেন তাহলে উনি ভুল করবেন।