Mata Banerjee: মোদী সরকারকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিলেন মমতা , ১০০ দিনের বকেয়া টাকা না পেলে ধর্নায় বসার দিনও ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

0
211

দেশের সময় : বাংলার বকেয়া পাওনার বিষয় নিয়ে কেন্দ্রকে আগেই সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার চরম হুঁশিয়ারিও দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এবার ১০০ দিনের কাজ, আবাস ও সড়ক যোজনার বকেয়া টাকা দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, যদি ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্র বাংলাকে বকেয়া টাকা না-দেয়, তা হলে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি নিজে ধর্নায় বসবেন। তবে মমতা কোথায় ধর্না দেবেন, কলকাতায় না কি দিল্লিতে, তা স্পষ্ট করে বলেননি।

এদিন নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইলেকশনের আগে বলবে, এই তো আমি দিলাম। যেন জমিদারির টাকা দিচ্ছে। মেয়েরা কাপড় কিনতে গেলেও জিএসটি দিতে হচ্ছে। বই কিনতেও জিএসটি। আমার এখান থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছো আর আমার ভাগটা দিচ্ছো না।”

রাজ্য সরকারের উত্তরবঙ্গের সচিবালয় উত্তরকন্যার সামনে সোমবার সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘১ তারিখ (ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত অপেক্ষা করব। সাত দিন টাইম দিয়েছি। আমাদের টাকা ফিরিয়ে দাও। মানুষ ঘর পাবেন না, নিজের পরিশ্রমের টাকা পাবেন না, আর তোমরা অট্টালিকায় থাকবে এটা হবে না। এটা আমি বরদাস্ত করব না। টাকা না-পেলে যা করার করব।’’ মমতা আরও বলেন, ‘‘১০০ দিনের বকেয়া টাকা না-দিলে ২ তারিখ থেকে আমি নিজে ধর্নায় বসব।’’

এর আগে গত বছর মার্চ মাসে রেড রোডে দু’দিন ধর্নায় বসেছিলেন মমতা। তার পর গত অক্টোবরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে গিয়ে ধুন্ধুমার বাধিয়েছিল তৃণমূল। কলকাতায় ফিরে এসে রাজভবনের সামনে টানা ধর্নাতেও বসেছিলেন তৃণমূলের সেনাপতি। তার পর সেই কর্মসূচি থেকেই অভিষেকের ঘোষণা ছিল, নভেম্বর থেকে ফের আন্দোলন শুরু হবে।

কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক নভেম্বরে সেই আন্দোলন হয়নি। গত ২০ ডিসেম্বর সাংসদদের নিয়ে মমতা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে ঠিক হয়েছিল, কেন্দ্র ও রাজ্যের অফিসারেরা বসে হিসেব ও বকেয়া নিয়ে আলোচনা করবে। কিন্তু সেই বৈঠক হলেও সোমবার পর্যন্ত জট কাটেনি। তার মধ্যেই মমতা কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন। মমতা সোমবার এ-ও জানিয়েছেন, ১০০ দিনের কাজের শ্রমিক, যাঁরা কাজ করেও মজুরি পাননি তাঁদের সঙ্গে এবং ১১ লক্ষ মানুষ যাঁদের আবাস যোজনার টাকা আটকে রয়েছে তাঁদের নিয়ে সভা করবেন। তার পর পরবর্তী ধাপে কী হবে সেই কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

বাংলার বকেয়া পাওনার দাবিতে এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে গিয়ে ধর্না আন্দোলন করেন। ওই ধাঁচে ফের আন্দোলন করা হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন পরোক্ষে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন বলে দলের একাংশের অনুমান।

যদিও পরক্ষণেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, “ওরা টাকা না দিলে আমার বয়েই গেল। আমরা মানুষের পাশে আছি, থাকব। কেন্দ্র ১০০ দিনের প্রকল্পে মানুষকে ৩৫ থেকে ৪০ দিন কাজ দিত। আমরা নিজেদের উদ্যোগে এখন ১০০ দিনের প্রকল্পে মানুষকে ৪০ শতাংশ কাজ দিয়েছি।”
অর্থাৎ কেন্দ্রকে ছাড়াই রাজ্যের নিজস্ব উদ্যোগেও এই সংক্রান্ত প্রকল্প চালু করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

এই প্রসঙ্গেই সবকিছুতে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়ার প্রসঙ্গটি টেনে তীব্র কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, “কাজ করব আমরা, আর ওরা খালি বসে বসে বিজ্ঞাপনে মুখ দেখাবে। “

Previous articleShantanu Thakur on CAA: সাত দিনের মধ্যে সিএএ কার্যকর হবে বাংলায়, ‘গ্যারান্টি’ দিলেন মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর
Next articleKolkata Book Fair 2024: ‘লিটল’ হলেও ভাবনায় বৃহৎ, কলকাতা বইমেলায় লিটল ম্যাগাজিনের খোঁজ নিল দেশের সময় : দেখুন ভিডিও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here