দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শনিবার নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বিচারপতিদের সম্মেলন ছিল। সেই বৈঠকের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠক হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । তবে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস সূত্রে বলা হচ্ছে, পার্শ্ববৈঠকের তুলনায় একে পৃথক সাক্ষাৎ বলা যেতে পারে। সম্মেলনে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সহ বাকি সব বিচারপতি ও বিভিন্ন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিরাও ছিলেন। ফলে পৃথক বৈঠকের পরিসর ছিল না।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওই সাক্ষাতের পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ক্ষণিকের জন্য দেখা হয় সাংবাদিকদের। তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। আলাদা করে কোনও বিষয় আলোচনার সময় ও পরিস্থিতি এদিন ছিল না।

আগে স্থির ছিল, শনিবারের সম্মেলনের পর বিকেলের বিমানে কলকাতায় ফিরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, ইদের আগে শেষ ইফতারে তাঁর থাকার ইচ্ছা রয়েছে। তা ছাড়া অক্ষয় তৃতীয়ায় তৃণমূলের নতুন অস্থায়ী ভবনের উদ্বোধন হওয়ার কথা।


তবে মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচিতে কিছুটা বদল করেছেন। শনিবার বিচারপতিদের সঙ্গে নৈশভোজে মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী ও আইন মন্ত্রী কিরেন রিজুজু সহ কেন্দ্রের মন্ত্রীদেরও অনেকের উপস্থিত থাকার কথা। সম্ভবত ওই নৈশভোজে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন বিচারপতিদের সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কলকাতা হাইকোর্টে বহু মামলা পড়ে রয়েছে বছরের পর বছর ধরে। ২ লক্ষেরও বেশি মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। তার অন্যতম কারণ হল, বিচারপতির সংখ্যা কম। কলকাতা হাইকোর্টে ৭২ জন বিচারপতি থাকার কথা। রয়েছেন ৪২ জন। রাজ্য সরকারের তরফে ১১ জনের নাম পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে ১ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে।

এদিনের সম্মেলনে কলকাতা হাইকোর্টের রাজারহাট ক্যাম্পাসের প্রসঙ্গও ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেখানে ১০ একর জমি দেওয়া হয়েছে। তবে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, সেই জমি পর্যাপ্ত নয়।

আরও বড় জমি লাগবে। মুখ্যমন্ত্রী তখন বলেন, ৫ একর জমিতে বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে যাচ্ছে, আর হাইকোর্টের ক্যাম্পাস কেন হবে না। এর থেকে বেশি জমি চাইলে আরেকটু দূরে যেতে হবে।তা ছাড়া দেখা গিয়েছে, আইনজীবীদের রাজারহাট ক্যাম্পাসে যাওয়ার ইচ্ছে কম।

জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চ নিয়েও এদিনের সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, সার্কিট বেঞ্চের আরও কিছু কাজ বাকি রয়েছে।

তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সার্কিট বেঞ্চ তৈরি হয়ে কাজ তো শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে সিকিম এবং উত্তর-পূর্বের লোকজন আসছে। আইন মন্ত্রী কিরেন রিজুজুও বলেন, তিনি জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ ঘুরে দেখেছেন। তাঁর বেশ ভাল লেগেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here