দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ স্পেন সফরে লা লিগা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফুটবলের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয় লা লিগা কর্তাদের। বাংলার মানুষের সঙ্গে ফুটবলের আত্মিক টান। কলকাতা থেকে ময়দানের প্রতিনিধিরাও স্পেন সফরে গিয়েছেন মমতার সঙ্গে।
কলকাতার তিন প্রথম সারির ক্লাব – মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডানের প্রতিনিধিরা রয়েছেন মাদ্রিদে। বৃহস্পতিবার লা লিগার প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার তেবাসের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তাঁদের।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময়ের রাত ১১টা নাগাদ কলকাতা তথা বাংলার ফুটবলের জন্য এক বড় সম্ভাবনার দরজা খুলে গেল।
এদিন সন্ধেয় কলকাতা তথা বাংলায় ফুটবলের পেশাদারিত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে ইতিহাসের এক অধ্যায় লেখা হয়ে গেল। মহানগরীতে একটি ফুটবল আকাডেমি গড়ে তোলার জন্য লা লিগার সঙ্গে চুক্তি সই করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।
এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ওই চুক্তি সইয়ের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বেঙ্গল মিনস বিজনেস। মানুষ যেমন মধুমেহ থাকলেও মিষ্টি না খেয়ে থাকতে পারে না, কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গও তাই। বাংলার যে কোনও গ্রামে চলে গেলে একটা ফুটবল অন্তত দেখা যাবেই। দেখা যাবে ছোট ছোট ছেলেরা প্রবল উন্মাদনার সঙ্গে ফুটবল খেলছে।
এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী ও লা লিগার প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় লা লিগা প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা কলকাতায় আসুন। জমি নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। কোনও কিছু নিয়েই আপনাদের ভাবতে হবে না। সরকার সব রকম সাহায্য করবে। আমাদের শুধু একটাই চাওয়া। যেভাবে আপনারা মেসি-রোনাল্ড তৈরি করেছেন, তেমনই কলকাতার ছেলেদের মধ্যে থেকেও মেসি, রোনাল্ডো গড়ে তুলুন। ওরা সত্যিই ফুটবল ভালবাসে।”
কলকাতায় লা লিগার ফুটবল আকাডেমি গড়ে তুলতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগের তারিফ করেন হ্যাভিয়ার টেবাস। সেই সঙ্গে তাঁরই পৌরোহিত্যে এদিন পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমের সঙ্গে লা লিগার মউ সাক্ষর হয়।
মউ সাক্ষরের পর আবার নিজে থেকেই মাইক টেনে নেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। কলকাতার তিনটি বড় ক্লাবের কর্মকর্তারা রয়েছে। আমি মিস্টার হ্যাভিয়ার
টেবাসকে বলব, আপনারা কলকাতায় আকাডেমি গড়ে তুললে সেখানকার ছেলেদের কলকাতায় ফার্স্ট ডিভিশন লিগে যেন খেলান। সেই অনুমতি যেন সরকার ও কলকাতার ক্লাবগুলি দেয়। আপনি আমার চেয়ে ফুটবল বেশি বোঝেন। আমি মনে করি আকাডেমির ছেলেরা ফার্স্ট ডিভিশনে খেলার সুযোগ পেলে, প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ পেলে, পেশাদারিত্বের বিকাশ হবে।”