নারীর ক্ষমতায়নে এগিয়ে বাংলা! মহিলাদের নেতৃত্বেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে জাতীয় স্তরে সেরার শিরোপা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ঠিক পরেই এই সুখবর সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
গোটা দেশের মধ্যে ফের শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট দেখিয়ে এমনটাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । অসংগঠিত ক্ষেত্রে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উৎপাদন শিল্পে ফের একবার এক নম্বর স্থান দখল করেছে বাংলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট করে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করেছিল। সেই বার্ষিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের সব রাজ্যের তুলনায় ছোট-মাঝারি উৎপাদন শিল্পে বাংলাই শীর্ষে রয়েছে। ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে পয়লা নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, সেটাও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রের রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ছোট-মাঝারি শিল্পে মহিলা চালিত সংস্থার সংখ্যা বাংলায় সর্বোচ্চ, ৩৬.৪ শতাংশ। পাশাপাশি অসংগঠিত ক্ষেত্রে মহিলা শ্রমিকদের অংশগ্রহণও এ রাজ্যে সবথেকে বেশি, ১২.৭৩ শতাংশ।
অন্যদিকে, ছোট-মাঝারি উৎপাদন শিল্পে মোট উৎপাদিত পণ্যও বাংলা থেকে সবথেকে বেশি আসে, ১৬.০২ শতাংশ। রাজ্যে শ্রমিকদের অংশগ্রহণের হার ১৩.৮১ শতাংশ, যেটিও গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
এরাজ্যের সরকার বরাবরই নারীদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে একাধিক কর্মোদ্যোগ নিয়ে থাকে। সরকার পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি মূলত মহিলা নির্ভর। যার মধ্যে দিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ পান গ্রামবাংলার নারীরাও।
ছোট স্তর থেকে শুরু করে এখন বহু স্বনির্ভর গোষ্ঠীই বিরাট কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তার অনেকগুলিই সরাসরি রাজ্য সরকারের অধীনে না হলে বিভিন্নভাবে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত। আর সেটাই নারীদের কর্মজগতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মূল উৎসাহ। বিশেষত অসংগঠিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর শাসনাধীন রাজ্যে এই চিত্র নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কেন্দ্রের সমীক্ষাতেও তা স্বীকার করা হয়েছে।