
শুক্রবার দেশপ্রিয় পার্কে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক রাস্তায় নতুন নামকরণ করলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, এবার থেকে ল্যান্সডাউন প্লেসের নাম হবে ‘প্রতুল মুখোপাধ্যায় সরণি’। এদিনের অনুষ্ঠানে মঞ্চেও রাখা ছিল প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীর ছবি।
এদিন কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে, রাজ্য সরকার আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপনে অন্য কোনও দেশ নিয়ে একটাও মন্তব্য করতে চাইলেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুধুমাত্র নিজের দেশের কথাই বলবেন।
উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বাংলা ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলনে মারা যান পাঁচ জন। তাঁদের স্মরণেই এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। প্রতি বছরের মতো এ বারও ঢাকার ভাষা শহিদ মিনারে অনুষ্ঠান হলেও সেখানে সুর কেটে গিয়েছে। রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন থাকার সময়ে সেখানে ছিলেন না অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
তবে প্রতিবেশি দেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি নন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দেশপ্রিয় পার্কের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘অন্য কোনও দেশ নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমি আমাদের দেশ নিয়ে বলব।’ এই সঙ্গেই রাজ্যে বাংলা ছাড়াও আরও অনেক ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ ভাষা কারোর কেনা নয়। যে যে ভাষায় কথা বলেন সেটাই তাঁর মাতৃভাষা। নিজের মাতৃভাষা নিয়ে সবারই সেন্টিমেন্ট আছে। এই আবেগকে আমরা শ্রদ্ধা করি।’ এই কারণে অলচিকি, কুরমালি, রাজবংশী, কামতাপুরী-সহ বিভিন্ন ভাষাকে রাজ্য সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ ছাড়াও আরও অনেক দেশে বাংলাভাষায় মানুষ কথা বলেন। এই ভাষায় কথা বলার নিরিখে বাংলা বিশ্বে পঞ্চম স্থানে এবং এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে আছে বলেও উল্লেখ করেন মমতা।