দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ফের মোদী-মমতা সাক্ষাৎ, ৫ ডিসেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এ’কথা জানান মমতা নিজেই! এই তথ্যে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

ডিসেম্বরের শুরুতে দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। আজ মমতা জানান, ৫ ডিসেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন তিনি মোদির সঙ্গে বৈঠকের কারণে। তবে সঙ্গেই জানিয়ে রেখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যাচ্ছেন না তিনি। দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে দিল্লি যাচ্ছেন বলেই জানা গিয়েছে। 

শুরু হয়ে গিয়েছে জি-২০ সম্মেলনের প্রস্তুতি। ২০২৩ সালে ভারতে হবে জি-২০ সম্মেলন, ওই সম্মেলনের প্রস্তুতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন হিসেবে হাজির থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্মেলনের বৈঠক ছাড়াও মোদি-মমতা পৃথক কোনও বৈঠকে বসবেন কিনা সেই প্রসঙ্গে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

দিল্লি থেকে বাংলা আসার আগে মুখ্যমন্ত্রী আজমের শরিফ এবং পুষ্কর ঘুরে আসতে পারেন বলেও জানা গিয়েছে। ডিসেম্বরে দিল্লি ছাড়াও মেঘালয় পাড়ি দিচ্ছেন মমতা। মেঘালয়ে জমি দখলের লড়াইয়ে কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল। ১২ ডিসেম্বর শিলং যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ১৪ তারিখ ফিরবেন কলকাতায়। 

সূত্রের খবর, জি-২০ সম্মেলনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত চারটি বৈঠক হওয়ার কথা বাংলাতেই। এ ছাড়া জি-২০ সংক্রান্ত মূল পর্যায়ের অনুষ্ঠানগুলির একটি উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি-দার্জিলিংয়ে হওয়ার কথা।

বিধানসভায় অধিবেশন কক্ষে একাধিক সরকারি প্রকল্প নিয়ে বৃহস্পতিবার বিস্তারিত জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, “আদিবাসীরা আমদের সমাজের সম্মানীয়। তাদের নানা ভাগ আছে৷ সমস্ত সম্প্রদায়ের জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা তাদের জন্য ফান্ড বাড়িয়েছি। কেন্দু পাতার দাম বাড়িয়েছি৷ অরণ্যের অধিকার অরণ্যের মানুষের হাতে। তাদের জমি যাতে কেউ না নিতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি৷ বার্ধক্য ভাতা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দুয়ারে সরকারে আমরা কাজ করছি।”

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, “শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ আছে তফশিলীদের জন্য৷ তারা টাকা পায়। হস্টেলের টাকা দেওয়া হত, তারপর আগে কমপ্লেন আসত। তাই সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হয়। তাদের জন্য সব সুবিধা দেওয়া হয়। উত্তর ও দক্ষিণের আলাদা ভাবাবেগ আছে। আমাকে সবটাই দেখতে হয়।

আমরা বাবা সাহেব আম্বেদকর ইন্সটিটিউট থেকে গুরুচাঁদ ঠাকুর বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। আপনাদের আর কিছু সাজেশন থাকলে দেবেন।” একইসঙ্গে মমতা সতর্ক করেন, “কেউ কেউ মিসইনফরমেশন দেয়। সেটা হবে না। নজরে রাখবেন, আমাদের জানাবেন।”

পাশাপাশি, নিয়োগের ক্ষেত্রে একের পর এক মামলায় জেরবার রাজ্য। এদিন, বিধানসভা থেকে আদালতের কাছে বড় আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘যখনই আমরা লোক নিতে চাই রেশনে তখনই আদালতে যায়। আর স্টে নিয়ে চলে আসছে। আদালতে লড়তে লড়তে সব টাকা চলে যাচ্ছে। আমি আদালতকে আবেদন করব বিধানসভা মারফত যাতে মানুষের সুবিধা হয়। বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে।”

বৃহস্পতিবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজ্যে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ ইস্যুতে বলতে গিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের স্বদিচ্ছা থাকলেও একাধিক মামলার গেরোয় সেই প্রক্রিয়ায় বারবার বাধা আসছে বলে এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি এদিন বলেন, “পাবলিক চায় দুয়ারে রেশন। আদালতে আবেদন করা হোক।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here