দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলে নীল সাদা রঙের ইউনিফর্ম হবে, রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক চলছেই। ছাত্রছাত্রীদের পোশাকের রঙ শুধু নয়, সেই পোশাকে বিশ্ব বাংলার লোগো দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে সরকারের তরফে। শিক্ষা মহলে যা নিয়ে চর্চার শেষ নেই। অনেকেই সরকারি এই সিদ্ধান্তকে মানতে পারেননি। স্কুল ড্রেস নিয়ে সেই বিতর্কেই এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী ।
এদিন নেতাজি ইনডোরের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের পোশাক বানাবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মানুষ। এই পোশাক বাইরে থেকে না আনিয়ে যাতে এ রাজ্যের কিছু মানুষের কর্মসংস্থান করা যায় সেই কারণেই সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। আর সেই কারণেই স্কুলের পোশাকে রাখা হচ্ছে বিশ্ব বাংলার লোগো।
মমতার কথায়, স্কুলের ছেলেমেদের পোশাক বাইরে থেকে আনাবো না, আমাদের ঘরের ছেলেমেয়েরা, যাঁরা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তাঁরাই এটা বানাবেন। তাতে তাঁদের আর অন্য কারও উপর নির্ভর করে থাকতে হবে না। আমরা বিনা পয়সায় পোশাক দিচ্ছি, সেখানে বাংলার একটা লোগো থাকবে না? বিশ্ব বাংলার এই লোগো তৃণমূল বা কোনও রাজনৈতিক দলের নয়, এটা সরকারের লোগো, বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ব বাংলার এই লোগো আমি এঁকে দিয়েছিলাম, তার জন্য কোনও পয়সা নিইনি। তাছাড়া আমি তো বেসরকারি স্কুলের পোশাকের কথা বলছি না, তারা নিজেদের লোগোই ব্যবহার করুক। আমি সরকারি স্কুলের ইউনিফর্মের কথাই বলেছি।
কেন্দ্রের মোদী সরকারকেও এই প্রসঙ্গে তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, কেন্দ্র সরকার যদি স্ট্যাম্প লাগাতে পারে, বাংলার সরকার কেন তা পারবে না? ওরা তো ছবি ব্যবহার করে, আমরা তা করছি না।
নেতাজি ইনডোরে এদিন বিধবা ভাতা প্রকল্পের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আজ থেকে রাজ্যের আরও ৮ লক্ষ বিধবা মহিলার পেনশন চালু করেন তিনি। এর আগে পর্যন্ত মোট ১৩ লক্ষ বিধবা মাসে হাজার টাকা করে পেনশন পাচ্ছিলেন। সেই সংখ্যা বাড়ল আরও ৮ লাখ। সবমিলিয়ে রাজ্যে এখন বিধবা ভাতা প্রাপকের সংখ্যা দাঁড়াল ২১ লাখ।