দেশেরসময় ওয়েব ডেস্কঃ :প্রতি বছরের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এ বারও কালীপুজোর আয়োজন। নিজেই ভোগ রান্না করেছেন মমতা। তার মধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব নিয়ে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করলেন তিনি৷
বাড়ির পুজোর ব্যস্ততার মধ্যেই ধেয়ে আসতে থাকা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে এদিন কালীঘাটের বাড়ি থেকে সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাত ১২টায় বাংলাদেশে ঘূর্নিঝড় আছড়ে পড়বে।
সেইসঙ্গে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজনের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন জানিয়ে বলেছেন, “সবাইকে অনুরোধ আপনারা এখন বাড়িতে ফিরবেন না। রিলিফ সেন্টারে থাকুন। সরকার যা ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা মেনে চলুন।” মমতা এও জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে আবহাওয়া ভাল হবে।
আবহাওয়া দফতর যা জানিয়েছে তাতে, ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ সাগরদ্বীপ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। আবহবিদদের অনুমান মিললে মঙ্গলবার ভোরেই ঘূর্ণিঝড়টি দুই ২৪ পরগনাকে ছুঁয়ে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ উপকূলে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের বরিশাল থেকে ৩৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সিত্রাং। মমতাও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের বরিশালে মূল ঘূর্ণিঝড় হবে। রাত ১২টা নাগাদ আছড়ে পড়ার কথা। ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে আবহাওয়া আরও খারাপ হতে পারে।’’
এদিন বিকেল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী দফায় দফায় ফোনে কথা বলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে কত মানুষকে সরানো হল, সিতরাং মোকাবিলায় প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সিতরাং যে বাংলাদেশের দিকে মুখ ঘুরিয়েছে তা ৪৮ ঘণ্টা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ল্যান্ডফল ওপারে হলেও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলেকাতেও সিতরাংয়ের ঝাপটার তেজ থাকবে। তাই আগেভাগেই উপকূলবর্তী এলাকায় মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রিলিফ সেন্টারে।
আবহবিদেরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং প্রবল ঘূর্ণিঝড় হলে তার বড় ঝাপটা লাগতে পারে দুই ২৪ পরগনায়। আপাতত ঝড়ের যা মতিগতি, তাতে গত কয়েক ঘণ্টায় তার গতি বেড়েছে বলেই আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। সকালে প্রতি ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল সিত্রাং। দুপুরে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার গতি বেড়েছে ঘূর্ণিঝড়ের। দুপুর তিনটে নাগাদ পাওয়া খবর অনুযায়ী সেটি প্রতি ঘণ্টায় ৩১ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে।