দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ঝকঝকে আকাশ। কড়া রোদ। আর জমিয়ে ঠান্ডা। হঠাৎই আবহাওয়া দপ্তর জানাল, বৃষ্টি হতে পারে সপ্তাহের শুরুতে। সেই মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরর গঙ্গাসাগর সফরসূচি বদলে ফেলা হল। বুধবার যাওয়ার কথা ছিল। বদলে মঙ্গলবার গঙ্গাসাগর যাত্রা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, এই নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না নবান্ন। দুর্গাপুজো থেকে ইদ, বড়দিন থেকে গঙ্গাসাগর মেলা, রাজ্যে কোনও উৎসবের উদযাপনেই ঘাটতি রাখা হয় না। সেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ রয়েছে। এবার গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনেও খামতি রাখেনি নবান্ন। আগে থেকেই জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ। নতুন সুবিধার ঘোষণাও করা হয়েছে। এই পৌষ সংক্রান্তির দিন গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান করতে আসেন শুধু এ রাজ্যের নয়, ভিন রাজ্যের বাসিন্দারাও। আসেন সাধু, সন্ন্যাসীরা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, জোড়া পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে ফের বাধাপ্রাপ্ত উত্তুরে হাওয়া। জানা গিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম ভারতে অবস্থান করছে দুই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এছাড়াও দক্ষিণ বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। আর এর জেরে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে ঠান্ডা হাওয়ার প্রবেশ। অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয়বাষ্প পূর্ণ হাওয়া প্রবেশের ফলে এ বছর শেষে বাংলা ভিজবে বৃষ্টিতে।
‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’ এই মন্ত্রেই বিশ্বাসী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যেই বড়দিন উৎসবের সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলাতের প্রস্তুতিতেও কোনও খামতি রাখতে চান না মুখ্যমন্ত্রী। এবারে গঙ্গাসাগর মেলাকে ইকো ফ্রেন্ডলি মেলা করাই লক্ষ্য রাজ্যের।
নবান্ন সূত্রের খবর, করোনাকালে আগামী বছর গঙ্গাসাগর মেলা করার জন্য এমনিতেই বাড়তি নজরদারির ভাবনা। এ বারও মেলাপ্রাঙ্গণ জুড়েই বসছে এক হাজারের বেশি সিসিটিভি। থাকবে পাঁচটি অত্যাধুনিক কন্ট্রোলরুম। দশটি বাফার জোন করে চব্বিশ ঘণ্টা নজরদারি চালানো হবে ড্রোনের মাধ্যমে। মেলাপ্রাঙ্গণে যানজট রুখতে সব গাড়িকে জিআই ট্যাগের আওতায় আনা হবে।
কোভিড আবহে এই মেলার আয়োজন বড় চ্যালেঞ্জ। সেসবই গিয়ে খতিয়ে দেখবেন মমতা। এসই সঙ্গে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেবেন। তিনদিনের সফরে প্রশাসনিক বৈঠকও রয়েছে তাঁর। বুধবার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় বৃষ্টি হবে। সে কারণেই এক দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে যাবেন গঙ্গাসাগর।