” আমার পরিবারকে পুরো চোর বানিয়েছে। কারণ আমি ওদের বিরুদ্ধে কথা বলি। ” পার্ক সার্কাসে সম্প্রীতি মিছিলের শেষে এই কথা বলেন মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কামান দেগে তিনি তিনি প্রশ্ন তোলেন, ” দেশের টাকা বিদেশে গেল কোথায়? ” অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের দিনই বাংলায় সর্বধর্ম সমন্বয়ে ‘সম্প্রীতি মিছিল’ এ হাঁটেন মমতা। সেই সভা থেকেই জানালেন, বাংলার মানুষ সংস্কৃতিবান। চলতি অবস্থায দেশকে ও সব ধর্মের মানুষকে বাঁচাতে হলে, বাংলার মানুষকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে । তার আশঙ্কা না হলে দেশ বিকিয়ে যাবে।
সোমবার মমতা কালীঘাটের মন্দিরে পুজো গিয়ে, গুরুদ্বার, মসজিদ, গির্জা ছুঁয়ে সভা করেন। মমতা এদিন বলেন, “কেউ রামের পুজো করেন কেউ আল্লাহ্-র।।কোনও আপত্তি আপত্তি এক জায়গায়। যে দেশে বেকারের সংখ্যা কোটি কোটি, দেশের টাকা কোথায় গিয়েছে, কিভাবে গিয়েছে, কেউ জানে না, যে দেশের মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধিক, যে দেশে বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ ডিম, মাছ মাংস খান, আমি নিজেই খাই, সেখানে গর্ভবতী মহিলারা ডিম খাবেন না, এটা কেউ বলতে পারে না। কে কী খাবে, কী পরবে, তা কেন কেউ ঠিক করে দেবে? ” তার কটাক্ষ, ” হেরে থেকে চলে গেলে বুঝবেন। দেশের টাকা কোথায় গেল,?
তিনি জানান, ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয় না যারা, গরিব মানুষগুলি না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছেন। অথচ ৭০০০ কোটি টাকার কাজ করিয়ে টাকা দেওয়া হয়নি। রাস্তা, আবাসনের কাজ বন্ধ। স্বাস্থ্যের সব করে দিয়েছে বলে দাবি করছে কেন্দ্র, কিন্তু গেরুয়া রং করার দাবি জানাচ্ছে কেন্দ্র। মমতা বলেন, ‘গেরুয়া রং যাঁরা পরেন, তাঁরা ধর্মচর্চা করেন, দানধ্যান করেন, দীক্ষা নেন, মনের মধ্যে ধর্মকে রাখেন।” তার অভিযোগ , বি জে পি যেমন হিন্দুভোট ভাগ করে, তেমন কিছু দালাল নেতা তৈরি হয়েছে, যারা মুসলিম ভোট ভাগ করে। । ধর্ম থাকবে ধর্মস্থানে, কর্ম থাকবে কর্মস্থানে।”
মমতার ক্ষোভ, কখনও তাঁকে ‘মমতার বেগম’ বলে, কেউ আবার বলেন মুসলিমদের জন্য কিছু করেননি তিনি। বাবরি মসজিদের সময় কয়েক হাজার লোক মারা গিয়েছেন। সেই সময়ও তিনি রাস্তায় নেমেছিলেন। সেই সময় সি পি এম কোথায় ছিল, প্রশ্ন মমতার।