দেশের সময় ,কলকাতা : সংহতির বার্তা দিচ্ছিলেন তিনি। মঞ্চে তখন উপস্থিত ছিলেন সমস্ত ধর্মাবলম্বীরা। ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘড়ির কাঁটা পাঁচটা বেজে কয়েক মিনিট হয়েছে । মাইকের সামনে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্ক সার্কাস ময়দানে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সংহতি মিছিলে বক্তব্য রাখছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেই সময় ভেসে এল আজান। বক্তব্য থামালেন তৃণমূল সাংসদ। সংহতির সভায় এই স্বল্প সময় অনেকেরই মনে সুদূরপ্রসারী দাগ কেটে রাখবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

এদিন একতার বার্তা দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা দুর্গাপুজোর সময় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আনন্দ করি। তেমনই ঈদের সময়ও আনন্দ করি।’

এদিনের সংহতি মিছিল থেকে নাখোদা মসজিদের ইমাম জানান, ভারতে একদিকে যেখানে ঘৃণার অন্ধকার বাড়ছে সেই সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই অন্ধকার দূর করার চেষ্টা করছেন। কারও ‘মন কি বাতে’ দেশ চলবে না বরং আইন-নিয়মে চলবে বলে জানান তিনি। নাখোদা মসজিদের ইমামের কথায়, ‘আমার নেত্রীকে না চিনলে হিন্দুস্তান সমস্যায় পড়বে।

‘২০১৯ সালের পর থেকে তৃণমল সরকার ধারাবাহিকভাবে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। রাস্তার টাকা, আবাসের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। রাজ্য থেকে চার লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র তুলে নিয়েছে। বাংলার মানুষকে নিপীড়িত করার চক্রান্ত চালানো হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমার কোন ধর্ম নেই। আমার একটাই ধর্ম মানব ধর্ম। মানুষকে পরিষেবা দেওয়া আমার কাজ। যাকে ইচ্ছে ভোট দেবেন। কিন্তু, ধর্মের নামে নয়, কর্মের নামে ভোট দিতে হবে।’

এদিন বৌদ্ধ ধর্মগুরু বলেন, ‘ ২০২৪ সালের নির্বাচন ঠিক করে দেবে মানুষ কী চায়।’ খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুর কথায়, বাংলার বুকে শান্তির দূত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্ত মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে চলার জন্য যা যা করার আমরা করব। এদিনের খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুর কথায়, ‘বাংলার বুকে শান্তির দূত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্ত মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে চলার জন্য যা যা করার আমরা করব।’

গণতন্ত্রে মানুষই যে শেষ কথা বলে, তা দাবি করেছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘ বাংলায় জিততে পারেনি বলে বিজেপি সরকার বাংলার মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করছে। যে সমস্ত রাজনৈতিক দল সম্মান অর্জন করতে পারে না, তারা ধর্মের নামে ভোট চায়। মানুষের হৃদয়ে তারা প্রতিপত্তি প্রভাব খাটাতে পারেনি।’ দল বিভাজনের বার্তা কোনওদিন দেয়নি। বরং একতার বার্তা দিয়েছেন বলে জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here