ভোট আবহে তরজা অব্যহত। শাসক-বিরোধী, একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে পিছপা হচ্ছেন না। স্লোগান তুলছে সব পক্ষ। তবে এবার আর কোনও আক্রমণ বরদাস্ত করবেন না, সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তিনি মানহানির মামলা করবেন বলে উল্লেখ করলেন । কথায় কথায় তৃণমূলকে চোর বলা! এবার আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার হুগলির শ্রীরামপুরের সভা থেকে মমতা বলেন, “রোজ বলছে তৃণমূল চোর! কার পকেটে চুরি করেছে জিজ্ঞেস করুন। একটা হাওয়া তুলে দিয়েছে। চুরিটা করেছে, প্রমাণটা কোথায়?”
খানিক থেমে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “আমি তো কোর্টে যাচ্ছি, মানহানির মামলা করব। আমি এবার ছাড়বার পাত্র নই। আঁটসাঁট করে ধরব। রোজ খবরের কাগজে মিথ্যে কথা বলছে। জীবনে এককাপ চাও কার কাছ থেকে খাইনি, আমাকে বলছে চোর!”
এই প্রসঙ্গেই সংবাদমাধ্যমেকও এক হাত নিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, “সংবাদপত্রের মালিকগুলো সব বিজেপির কাছে নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে। কাল যখন গদি ওল্টাবে তখন এরাই সবার আগে পাল্টাবে!”
এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত বলেও দাবি করেন তৃণমূল নেত্রী। রাজ্য ধরে ধরে হিসেব দিয়ে মমতা বলেন, “বিহারে, উত্তরপ্রদেশে, রাজস্থানে হারছে। কেরালা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকেও জিরো।
বাংলাতেও জিরো। দিল্লি, পাঞ্জাবেও হারছে। ভোটটা তাহলে পাবে কোথা থেকে? আকাশ থেকে কী ভোট পড়বে? কাজ করতে হয়। কোনও কাজ করেনি। এবারের ভোটে তাই বিজেপির শোচনীয় পরাজয় হবেই।”
মনে করিয়েছেন, “২০০৪ সালে কেউ ভাবেনি অটলজী হেরে যাবেন। কিন্তু তাঁকে হারতে হয়েছিল। কারণ, মানুষ হারিয়ে দিয়েছিল।”
ভোটের পরে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বে সরকার গঠন হবে এবং সেই সরকারকে তৃণমূল নেতৃত্ব দেবে জানিয়ে মমতার কটাক্ষ, “বিজেপিকে তো এবার আমরা রাজ আসনে বসিয়ে দেব! এবার আমরা দেখতে চাই, মোদী যাক, দেশটা থাক।” বাংলায় যে ইন্ডিয়া জোট নেই এবং বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই, সেটাও ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন।
হুগলিতে এবারেও তৃণমূল প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে কল্যাণের প্রশংসা করে মমতা বলেন, “কল্যাণ তো একাই একশো। ওর গলার আওয়াজ শুনেছেন তো! ও একাই বিজেপির ৩০০ জনকে বুঝে নিতে পারে! তাই সংসদে ওর যাওয়াটা জরুরি।”