দেশের সময় কলকাতা : তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা অপেক্ষা করে রয়েছেন, কবে দলনেত্রী প্রচারের ময়দানে নামবেন। তবে আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের।
ভোটপ্রচারে মাঠে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩১ মার্চ মহুয়া মৈত্রর কেন্দ্রে প্রচার সভায় যোগ দিচ্ছেন তিনি। মহুয়ার কেন্দ্রটি হল কৃষ্ণনগর দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র। সেখানেই জনসভায় বক্তব্য পেশ করবেন মমতা। গত ১৪ মার্চ নিজের বাসভবনে পড়ে গিয়ে কপাল এবং নাকে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। এসএসকেএম হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দিলেও তিনি বাড়ি ফিরে যান। তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
এরইমধ্যে গত ১৭ মার্চ রাতে গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটে। পরেরদিন ১৮ মার্চ মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থাতেই ঘটনাস্থলে যান তিনি। খতিয়ে দেখেন পরিস্থিতি। দেশে লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। রাজ্যর সঙ্গে জেলাতেও শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার। দিন যতই গড়াবে ততই চড়বে পারদ। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল নেতা-কর্মীরা অপেক্ষা করে ছিলেন কবে দলের সুপ্রিমো প্রচারে নামবেন।
মার্চ মাস থেকেই লোকসভা ভোটের প্রচারে নেমে পড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচার শুরু হচ্ছে মহুয়া মৈত্রর কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকেই।
মহুয়ার কৃষ্ণনগর থেকে নির্বাচনী জনসভা শুরু করার পরের দিন মমতার ডেস্টিনেশন অধীর-গড় বহরমপুর। আগামী ১ এপ্রিল বহরমপুর স্টেডিয়ামে একটি সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। নির্বাচনী রাজনীতির সমীকরণের দিক থেকে এই দুটি লোকসভা কেন্দ্রই বাংলার রাজনীতির পরিসরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষ্ণনগর থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে রানি মা অমৃতা রায়কে। ভোট ময়দানে মহুয়ার বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগরের রাজমাতার উপরেই বাজি রেখেছে পদ্ম শিবির। এমন অবস্থায় এবার কপালের চোট কাটিয়ে মহুয়ার কৃষ্ণনগর থেকেই নির্বাচনী জনসভা শুরু করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর পাশাপাশি বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রও হল এককথায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দুর্গ। সেই অধীর গড়ে ভাঙন ধরাতে তৃণমূল এবার নিয়ে এসেছে প্রাক্তন নাইট ইউসুফ পাঠানকে। প্রাক্তন ক্রিকেটারকে বহরমপুর থেকে প্রার্থী করার পর থেকেই বিরোধীরা বিভিন্ন রকমের খোঁচা দিতে শুরু করেছে। উঠে আসতে শুরু করেছে বহিরাগত তত্ত্বও। এবার আগামী ১ এপ্রিল বহরমপুরের সভা থেকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।