বসিরহাটে লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে কথা দিয়েছিলেন, সন্দেশখালি যাবেন। দ্বীপভূমি তখন উত্তপ্ত মহিলাদের লাঞ্ছনা, ভেরি দখলের মতো অভিযোগ ঘিরে। সেই সন্দেশখালি রবিবার থেকে সেজে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর ঘিরে।
সোমবার সেখানে যাচ্ছেন তিনি। বেলা ১২’টায় সন্দেশখালির ঋষি অরবিন্দ মিশন মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার অবতরণের কথা।
সভামঞ্চের পাশে রাখা শতাধিক সাইকেল। সেগুলো নতুন, ঝকঝকে–তকতকে। সন্দেশখালির ঋষি অরবিন্দ মিশন মাঠে তৈরি মঞ্চ । রবিবার সকাল থেকে ওই সব সাইকেল জড়ো করে রাখা শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল।
আজ, সোমবার সন্দেশখালির ওই মাঠে প্রশাসনিক সভার মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাইকেলগুলো দেবেন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের। তা ছাড়া, আবাস যোজনার ঘরের চেক, মৎস্যজীবীদের জন্য নৌকো ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং ই–রিকশাও মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চ থেকে সুবিধাপ্রাপকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে সন্দেশখালির বিধায়ক, তৃণমূলের সুকুমার মাহাতো জানিয়েছেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের আরও কিছু জনমুখী প্রকল্পের নথি তুলে দেওয়া হবে সুবিধাপ্রাপকদের হাতে।
সরকারি সূত্রের খবর, ‘লক্ষ্মীর ঝাঁপি’ নিয়ে সন্দেশখালি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা দ্বীপভূমির বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেবেন।
সুন্দরবনের এই দ্বীপটি বছরের গোড়ায় শিরোনাম হয়েছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ সাজাহান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর অভিযোগ ঘিরে। মহিলারা পথে নেমে বিক্ষোভ করেছিলেন যৌন লাঞ্ছনার প্রতিবাদে। অভিযাগের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেন। তৃণমূলও সাংগঠনিক পদক্ষেপ করে।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশখালি সফরে যাওয়ার কথা বলেন। সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কোনও দলীয় কর্মসূচি নেই। আসছেন প্রশাসনিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে। তবে সভাস্থলে হাজার কুড়ি মানুষের বসার ব্যবস্থা হয়েছে। তবে উপস্থিতি আরও বেশি হতে পারে।