দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিগত কয়েক মাসে হাওড়া স্টেশন থেকে লাগাতার লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে আরপিএফের। একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটায় জোরকদমে তদন্ত শুরু ররেছে আয়কর দফতর। এদিকে এবার মালদার কালিয়াচকে এক পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি থেকে ৩৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করল এসটিএফ ৷ এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। তল্লাশিতেই খোঁজ মেলে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের।
এসটিএফ সূত্রে খবর, এই বিপুল পরিমাণ টাকার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে মাদক কারবারের। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কালিয়াচক থানার মোজামপুর থেকে হেরোইন সহ রয়্যাল শেখ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই বিপুল টাকার হদিশ মেলে।
এসটিএফের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই বিপুল পরিমাণ টাকা পুরোটাই মাদক কারবারি রয়্যাল শেখের। রয়্যাল শেখের স্ত্রী ফতেমা বিবিকে এই মামলায় মূল অভিযুক্ত করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরের শুরুতে মালদায় এক মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিতে দিতেই চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে গিয়েছিল সিডিআইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকদের। গাজোলের ঘাকশোলের মাছ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। যা নিয়ে বিস্তর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছিল গোটা জেলায়।
ওই ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ কাপ সিরাপ পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছিলেন সিআইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার ২ মাসের মাথায় ফের একই জেলায় বিপুল পরিমাণ বেআইনি সম্পদের খোঁজ মেলায় তা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়ে গিয়েছে নাগরিক মহলে।