বাগদা বিধানসভার উপনির্বাচন। এই কেন্দ্রে এ বার লড়াই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। ২০২১ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির টিকিটে বাগদার বিধায়ক হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। লোকসভায় বনগাঁ কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিট পাওয়ার পর তিনি বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ায় উপনির্বাচন হচ্ছে বাগদায়।
সকাল থেকে বুথে বুথে ঘুরছেন বাগদা উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর। সঙ্গে মা মমতাবালা ঠাকুরও রয়েছেন। জীবনের প্রথম নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন মধুপর্ণা। সেখানেই বিতর্কে জড়ালেন কনিষ্ঠতম এই প্রার্থী।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন। মধুপর্ণা যে গাড়ি নিয়ে বুথে বুথে ঘুরছেন, সেই গাড়িতে ‘গভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ লেখা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ছড়াতেই সেই স্টিকার ঢেকে ফেলা হয়।
রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালার ঠাকুরের বক্তব্য, তাঁর কাছে একটিই গাড়ি রয়েছে। এই গাড়িতেই তাই মেয়েকে নিয়ে ঘুরছে। এই গাড়ির নম্বর দিয়েই কমিশন থেকে পাস তুলেছেন তিনি। যদি এতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়ে থাকে, তাহলে কেন কমিশন তাঁদের এই গাড়ি নিয়ে ঘোরার জন্য অনুমতি দিল, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতাবালা।
তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন অনুমতি না দিলে আমরা এই গাড়ি নিয়ে বেরতাম না। আমি বুথের অনেক দূরে দাঁড়াচ্ছি। বুথেও ঢুকছি না। মধুপর্ণা পায়ে হেঁটে বুথে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে।”
এবিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “এই গাড়ি নিয়ে যদি সমস্যা হয় তাহলে নির্বাচন কমিশন আমাদের পারমিশন দিল কেন? আসলে বিজেপি জেনে গিয়েছে, তারা গোহারা হারছে। তাই এসব করছে। মানুষ তো আর গভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া দেখে ভোট দেবে না। বিষয়টি নিয়ে যদি সমস্যা হয়ে থাকে তাই গাড়ির ওই স্টিকার ঢেকে দেওয়া হয়েছে।”
কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও প্রার্থী ভোটের সময়ে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না। এক্ষেত্রে কীভাবে বাগদা উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী সরকারি গাড়ি নিয়ে বুথে বুথে ঘুরে বেড়ালেন তানিয়ে প্রশ্ন উঠছে।