দেশের সময় ওয়েবডেস্ক বাংলার ভোট ইতিহাসে এমন ঘটনা বেনজির। মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার কথা। তার আগেই রাজ্যে পা রাখতে চলেছে মোট ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
কারণ কী? এই প্রশ্নেই এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সাধারণত, ভোট ঘোষণা হওয়ার পর, অর্থাৎ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ও প্রশাসন কমিশনের হাতে যাওয়ার পরই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। কিন্তু এবার অন্য পথে হাঁটছে কমিশন।
সূত্রের খবর, আগামী ১ মার্চই রাজ্যে আসছে ১০০ কোম্পানি আধা সেনা। ৭ মার্চ আসবে আরও ৫০ কোম্পানি। তার আগে আগামী ৩ মার্চ রাজ্যে আসবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সূত্রের খবর, প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসনকে এখন থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কমিশনকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারই ভিত্তিতে এবং অতীত রেকর্ডের নিরিখে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র এলাকার স্পর্শকাতর বুথ এবং স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিতকরণ করা হবে। কারণ, স্পর্শকাতর এলাকার ভিত্তিতেই কোন এলাকায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে তা ঠিক করবে কমিশন।
জানা গেছে, আগামী ৩ মার্চ রাজ্যে আসতে পারে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। টানা তিনদিন ধরে রাজ্যের ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাদের পাশাপাশি তাঁরা জেলার জেলাশাসক, নোডাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। হবে সর্বদলীয় বৈঠকও।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এক মাস ধরে জমা পড়া রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত রিপোর্টের কারণেই আগেভাগে বাংলায় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে রুট মার্চ এবং এরিয়া ডমিনেশনের কাজ শুরু করবে।
বাংলায় সর্বোচ্চ ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সবচেয়ে বড় কথা হল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই মর্মে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনও একটি দফায় প্রয়োজন পড়লে সর্বোচ্চ ৯২০ কোম্পানি পর্যন্ত সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েন করা যাবে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিবকে চিঠি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব। তাতে তিনি বলেছেন, সব মিলিয়ে ৩৪০০ কোম্পানি বাহিনী লাগবে লোকসভা ভোটের জন্য। তার অর্থাৎ হল মোট বাহিনীর এক চতুর্থাংশই মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।
মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই তা ঘোষণা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে ৮০ হাজারের বেশি বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথেই বাহিনী রেখে ভোট হবে এবার।