দেশের সময় : দেশের সবথেকে বড় গণতান্ত্রিক উৎসব লোকসভা নির্বাচন। সাত দফা নির্বাচন শেষে প্রকাশিত হবে লোকসভা ভোটের ফলাফল। প্রত্যাবর্তন না পরিবর্তন, দিল্লির কুর্সিতে শাসক না বিরোধী? এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে আজই।
আজ, লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ। দেশের ৫৪৩টি আসনের ভোট গণনা হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনও রয়েছে। আজই গণনা শেষে প্রকাশিত হবে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল।
এ বছরে শেষ দফার ভোট গ্রহণ মিটতেই, তিনদিনের মধ্যে ভোটের ফল প্রকাশ করা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মোট ৬৪২ মিলিয়ন ভোটার ভোট দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে যাবে ভোটগণনা। গোটা দেশের ৫৪৩টি আসনে গণনা হবে। এর মধ্যে রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসী, রাহুল গান্ধীর রায়বরেলি, ওয়েনাড়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলি। ৫৪৩টি লোকসভা আসনের পাশাপাশি ওডিশা এবং অন্ধ্র প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনেরও গণনা রয়েছে মঙ্গলবার। ২ জুন ঘোষণা হয়েছে সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশের ফলাফল।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে যাবে ভোটগণনা। গোটা দেশের ৫৪৩টি আসনে গণনা হবে। এর মধ্যে রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসী, রাহুল গান্ধীর রায়বরেলি, ওয়েনাড়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলি। ৫৪৩টি লোকসভা আসনের পাশাপাশি ওডিশা এবং অন্ধ্র প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনেরও গণনা রয়েছে মঙ্গলবার। ২ জুন ঘোষণা হয়েছে সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশের ফলাফল।
বাংলার ৪২টি লোকসভা আসনে ভোট-গণনার জন্য মোট ৫৫টি গণনা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। কাউন্টিং হলের সংখ্যা ৪১৮টি। কমিশন সূত্রে খবর, গণনা কেন্দ্রের বাইরে ২০০ মিটার পর্যন্ত জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। রাজ্যের ৫৫ টি গণনা কেন্দ্রে নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। থাকবেন ২ হাজার ৫২৫ জন রাজ্য পুলিশের কর্মী।
পোস্টাল ব্যালট দিয়ে প্রথম গণনা শুরু হবে। পোস্টার ব্যালটের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একবারই OTP দেখার জন্য মোবাইল ব্যবহার করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার। এ ছাড়া গণনা কেন্দ্রের মধ্যে আর কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। কমিশন সূত্রে খবর, প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা হবে।
অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন শুরু হয় ১৯ এপ্রিল থেকে। এরপর ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন মিলিয়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এবার অপেক্ষা ফলাফলের। ইতিমধ্যেই গণনার তোড়জোড় সম্পন্ন করে ফেলে নির্বাচন কমিশন। এখন কেবলমাত্র EVM খোলার পালা।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে নির্বাচনের ফলাফল কী ভাবে দেখবেন?
বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা ও ফলাফল দেখা যাবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে। কমিশনের https://results.eci.gov.in/ ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারবেন কাউন্টিং ট্রেন্ড ও রেজাল্ট। iOS ও অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপে দেখা যাবে কাউন্টিং ট্রেন্ড ও ভোটের রেজাল্ট। পাশাপাশি ECI ওয়েবসাইটে ‘হ্যান্ডবুক ফর রিটার্নিং অফিসারস ও কাউন্টিং এজেন্টস’-টিও উপলব্ধ।
https://tinyurl.com/yknwsu7r এবং https://tinyurl.com/mr3cjwhe. পাশাপাশি, ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপটি গুগল প্লে বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করে ফেললেই কেল্লাফতে। সেখানেই দেখা যাবে কোন প্রার্থী কোন কেন্দ্র থেকে এগিয়ে, কেই বা পিছিয়ে। দিনের শেষে এই অ্যাপই জানান দেবে প্রতিটি কেন্দ্রের জয়ী এবং পরাজিত প্রার্থীদের নাম। সঙ্গে মিলবে প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ এবং ভোটের হারও।
মঙ্গলবার দেশে লোকসভা নির্বাচনের গণনা। বাংলার ৪২টি আসনেও গণনা চলবে একইসঙ্গে। রাজ্যের ৪২ টি আসনের গণনা হবে মোট ৫৫টি গণনাকেন্দ্রে। মোট ৫০৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণে গণনার গড় রাউন্ড ১৭। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গণনা হবে ২৩ রাউন্ড। আর সবচেয়ে কম ভোট গণনার রাউন্ড ৯। গণনার জন্য মোট টেবিল ৪৯৪৪। নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে গণনার কাজ সম্পন্ন করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে। গণনা কেন্দ্রের বাইরে ২০০ মিটার পর্যন্ত জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। গণনা কেন্দ্রগুলিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় থাকছে। প্রথম পর্যায়ে থাকবে সংশ্লিষ্ট লাঠিধারী ও এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে সশস্ত্র রাজ্য পুলিশ এবং এরপর বাকি গণনা কেন্দ্র ঘিরে তৃতীয় পর্যায়ে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
রাজ্যের ৫৫ টি গণনা কেন্দ্রে নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। থাকছেন ২৫২৫ জন রাজ্য পুলিশের। গণনা কেন্দ্রে প্রতি বিধানসভা পিছু একজন করে পর্যবেক্ষক থাকছেন। অর্থাৎ ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য থাকছেন ২৯৪ জন গণনা পর্যবেক্ষক। গণনা কেন্দ্রে শুধুমাত্র পর্যবেক্ষকরাই মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন। এর পাশাপাশি সমগ্র গণনা কেন্দ্র সহ তার চারপাশ মোড়া থাকবে সিসিটিভি-তে।
পোস্টাল ব্যালট গণনার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একবারই নির্দিষ্ট ওটিপি দেখার জন্য মোবাইল ব্যবহার করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার। এছাড়া গণনা কেন্দ্রের মধ্যে আর কেউই মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে গেলে একমাত্র সাদা কাগজ ও পেন ছাড়া কোনও কিছু নিয়েই প্রবেশ করা যাবে না। যদি মোবাইল কারও কাছে পাওয়া যায় তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী তা বাজেয়াপ্ত করবে এবং নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী তাঁর হাজতবাস অথবা জরিমানা হতে পারে।
কোনও সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষক, সাম্মানিক সরকারি ভাতা প্রাপ্ত কর্মী, চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মী গণনায় যুক্ত থাকতে পারবেন না। বাধ্যতামূলকভাবে বেতনভুক সরকারি কর্মচারিদেরই গণনা কেন্দ্রের কর্মী হতে হবে। সমস্ত গণনা কর্মীর নির্দিষ্ট সরকারি আইডেন্টিটি কার্ড থাকতে হবে। একমাত্র প্রার্থী অথবা তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট নিজস্ব লোকসভা কেন্দ্রের সমস্ত টেবিলে যেতে পারবেন। গণনা এজেন্টরা নির্দিষ্ট নম্বরের টেবিল ছাড়া অন্য টেবিলে যেতে পারবেন না। গণনা কেন্দ্র থেকে একবার বাইরে বেড়িয়ে গেলে আর কেউ ফের ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। শুধুমাত্র অবজারভার ও রিটার্নিং অফিসারদের ক্ষেত্রে এই নিয়মে নিষেধাজ্ঞায় ছাড় থাকছে।
এদিকে ফেক কাউন্টিং এজেন্ট রুখতেও কড়া পদক্ষেপ করছে কমিশন। প্রত্যেক জেলা শাসকের তরফে প্রত্যেক কাউন্টিং এজেন্ট এবং কাউন্টিং অফিসার ও স্টাফদের দেওয়া হবে আলাদা রঙের সচিত্র পরিচয়পত্র। সেই পরিচয়পত্র দেখিয়েই ঢুকতে হবে কাউন্টিং হলে। অন্য কোনও পরিচয়পত্র দেখা হবে না।
অন্যদিকে সংবাদমাধ্যমের জন্য নির্দিষ্ট স্থান থাকবে গণনা কেন্দ্রে। গণনার যাবতীয় খবরা খবর দেওয়ার জন্য রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক মিডিয়া এনক্লেভে থাকবেন। গণনা কেন্দ্রের ভিতর ছবি করার জন্য শুধুমাত্র একবারই গণনার শুরুতে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।