দেশের সময় এনএসজি কম্যান্ডো অভিযান নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য পুলিশকে কিছু না জানিয়েই এই অভিযান হচ্ছে – বলে দাবি তাঁর। এমনকি, যে অস্ত্র-বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছে, সেগুলিকে ওখানে গাড়ি করে নিয়ে আসা হতেও পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তিনি।
শনিবার আসানসোলের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে প্রচার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখানেই একটি সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ যেন যুদ্ধ চলছে মনে হচ্ছে। সিবিআই, এনআইএ এনএসজি -র প্রয়োজন কেন হচ্ছে! রাজ্য পুলিশকে জানাচ্ছে না। কেউ জানে না কোথা থেকে কী উদ্ধার হল! হতে পারে ওরা গাড়ি থেকে নিয়ে এসে দেখাচ্ছে। কোনও প্রমাণ নেই যে ওই ঘরে সেগুলো ছিল।’
তৃণমূলের অভিযোগ, এই চিত্রনাট্য সাজানো। ষোল আনা সাজানো। বেছে বেছে এমন দিনে সন্দেশখালির জন্য এই চিত্রনাট্য তৈরি করা হয়েছে যাতে ভোটকে প্রভাবিত করা যায়।
এদিন মমতাও বলেন, “যেন যুদ্ধ হচ্ছে! কেন চকোলেট বোমা ফাটলেও সিবিআই, এনএসজির দরকার পড়ে?”
এখানেই না থেমে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটকে কেন্দ্র করে বড় ষড়যন্ত্রের অভিযোগও এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতার কথায়, “আজকে শুনলাম সন্দেশখালির বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমা জমা রয়েছে। মনে করছে বোমা রেখে এবং চাকরি খেয়ে জিতে যাবে।” খানিক থেমে কটাক্ষের সুরে যোগ করেছেন, “ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোসাই!”
শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের মাঝেই সন্দেশখালিতে গিয়ে অস্ত্রভাণ্ডার খুঁজতে নেমে পড়ে সিবিআই। তার পর কেন্দ্রীয় বাহিনী গেছে, এনএসজি কমান্ডোরা গিয়েছেন, তাদের বম্ব স্কোয়াড গিয়েছে। সঙ্গে আবার রোবট। দিনের শেষে বিবৃতি দিয়ে সন্দেশখালি থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধারের খবরও জানায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে সাজানো ঘটনা তৈরি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে বিজেপি।
এদিনের সভা থেকে এসএসসির চাকরি বাতিল নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তাঁর নিশানায় ছিলেন আসানসোল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। এমনকি, আগেবার নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী টাকা ছড়িয়ে ভোটে জিতেছিলেন বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।