Lok Sabha Election 2024 Counting: গণনা টেবিলের ধারে-কাছে যেতে পারবেন না অস্থায়ী কর্মীরা’, কমিশনকে নির্দেশ হাইকোর্টের , মঙ্গলে কখন স্পষ্ট হবে লোকসভা ভোটের ফলাফল? জানুন

0
114

রাত পোহালেই ভোটগণনা। আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা মাত্র। ১ জুন সপ্তম দফা নির্বাচন শেষে মিটেছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ৪ জুন ভোটগণনা। দেশে কি ফের আসছে মোদী সরকার? নরেন্দ্র মোদী হ্যাটট্রিক? না কি শিকে ছিঁড়বে বিরোধীদের জোট ‘INDIA’-র ভাগ্যে? মঙ্গলবার কার মঙ্গললাভ হবে? EVM খোলার পরই স্পষ্ট হবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর। কখন ভোটের ফল মোটামুটি স্পষ্ট হবে, এই প্রতিবেদনে সেই বিষয়টি আলোচ্য ।

হীয়া রায় ও সৃজিতা শীল

দেশের সময় : আগামিকাল, মঙ্গলবার সকাল  ৮টায় দেশ জুড়ে শুরু হবে ভোটগণনা ।

ভোটগণনার টেবিলে কোনও অস্থায়ী কর্মী থাকবে না। নির্বাচন কমিশনকে তা নিশ্চিত করতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশ, গণনাকেন্দ্রের টেবিলে অঙ্গনওয়ারি কর্মী, পার্শ্বশিক্ষক, সিভিক ভলান্টিয়ার বা ওই জাতীয় কোনও অস্থায়ী কর্মীকে রাখা যাবে না। নির্বাচন কমিশনের যে নির্দেশিকা রয়েছে, তা মেনে গণনাকেন্দ্রে কর্মী নিয়োগ করতে হবে।

হাওড়া ও বালি পুরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের গণনার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। মামলাটি করেন হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। মামলাকারীর আইনজীবী সওয়াল করেন, গণনাকেন্দ্রের ডিসিআরসির পুরো দায়িত্বে অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। ওই মামলায় কমিশনের আইনজীবী জানান, গণনার টেবিলে একজনও অস্থায়ী কর্মী থাকবেন না। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে নির্দেশিকা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্দেশ যাতে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।
সকাল ৮টায় জেলায় নির্বাচনী আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে EVMগুলিকে স্ট্রংরুম থেক গণনা হলে নিয়ে যাওয়া হবে। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে এই সময়। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে, নির্বাচন কমিশন স্ট্রংরুম থেকে ইভিএম মেশিন গণনা হলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে দলগুলির পোলিং এজেন্টদেরও সঙ্গে রাখবে। বিষয়টিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়।

হাই কোর্টে কমিশনের আইনজীবী জানান, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোলিং অফিসারদের মধ্যে কেউই চুক্তিভিত্তিক কর্মী নন। গণনার কাজে চুক্তিভিত্তিক কাউকে নেওয়া হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ মামলাকারী দিতে পারেননি। এর পরেই উচ্চ আদালত জানায়, কোথাও যাতে ভোটগণনার টেবিলে অস্থায়ী কর্মী না থাকে, তা দেখতে হবে কমিশনকে।
সকাল ৮টায় জেলায় নির্বাচনী আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে EVMগুলিকে স্ট্রংরুম থেক গণনা হলে নিয়ে যাওয়া হবে। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে এই সময়। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে, নির্বাচন কমিশন স্ট্রংরুম থেকে ইভিএম মেশিন গণনা হলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে দলগুলির পোলিং এজেন্টদেরও সঙ্গে রাখবে। বিষয়টিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়।

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় জেলায় নির্বাচনী আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে EVMগুলিকে স্ট্রংরুম থেক গণনা হলে নিয়ে যাওয়া হবে। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে এই সময়। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে, নির্বাচন কমিশন স্ট্রংরুম থেকে ইভিএম মেশিন গণনা হলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে দলগুলির পোলিং এজেন্টদেরও সঙ্গে রাখবে। বিষয়টিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়।

আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টায় জেলায় নির্বাচনী আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে EVMগুলিকে স্ট্রংরুম থেক গণনা হলে নিয়ে যাওয়া হবে। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে এই সময়। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে, নির্বাচন কমিশন স্ট্রংরুম থেকে ইভিএম মেশিন গণনা হলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে দলগুলির পোলিং এজেন্টদেরও সঙ্গে রাখবে। বিষয়টিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়।

আগামিকাল, মঙ্গলবার সকাল থেকেই শুরু হবে কার কপালে উঠবে মঙ্গল-তিলক। কার কপালে নাচছে শনির দশা।

বাংলার ৪২টি আসনের গণনা হবে ৫৫টি কেন্দ্রে। নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে গণনার কাজ সম্পন্ন করতে এবং গণনা কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তায় একাধিক পদক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন। গণনা কেন্দ্রের বাইরে ২০০ মিটার পর্যন্ত জারি থাকছে ১৪৪ ধারা।

সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা, নির্ভুল গণনা প্রক্রিয়া, নির্বাচনোত্তর ও ফল পরবর্তী হিংসা রোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও রাজ্যের বিরোধী দলগুলি তাতে নিশ্চিন্তে বসে থাকতে পারছেন। সিপিএমের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম গণনায় কারচুপির সম্ভাবনা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আগাম নালিশ জানিয়ে রেখেছেন। অপরদিকে, বিজেপি অভিযোগ তুলেছে আইপ্যাকের কর্মীরা কাজ করবে। পুলিশ তাদের সাহায্য করবে। ইভিএম স্ট্রংরুম থেকে গণনাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় অনেক কিছু ঘটতে পারে। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা কাজে লাগবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির।

আশঙ্কা-উদ্বেগ সত্ত্বেও গণনা কেন্দ্রগুলিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় থাকছে। প্রথম পর্যায়ে থাকবে লাঠিধারী ও এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে সশস্ত্র রাজ্য পুলিশ এবং এরপর বাকি গণনা কেন্দ্র ঘিরে তৃতীয় পর্যায়ে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যের ৫৫ টি গণনা কেন্দ্রে নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। থাকবে ২৫২৫ জন রাজ্য পুলিশ।

গণনা কেন্দ্রে প্রতি বিধানসভা পিছু একজন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন অর্থাৎ ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ২৯৪ জন গণনা পর্যবেক্ষক থাকবেন। গণনা কেন্দ্রে শুধুমাত্র পর্যবেক্ষকরাই মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন। এর পাশাপাশি গণনাকেন্দ্র সহ চারপাশ সিসিটিভিতে মোড়া থাকবে। পোস্টাল ব্যালট গণনার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একবারই নির্দিষ্ট ওটিপি দেখার জন্য মোবাইল ব্যবহার করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার। এছাড়া গণনাকেন্দ্রের মধ্যে আর কেউ মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না।

গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে গেলে একমাত্র সাদা কাগজ ও পেন ছাড়া কোন কিছু নিয়েই প্রবেশ করা যাবে না। যদি গণনাকেন্দ্রের ভিতরে কারও কাছে মোবাইল পাওয়া যায়, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী তা বাজেয়াপ্ত করবে এবং নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী তাঁর হাজতবাস অথবা জরিমানা হতে পারে। কোনও সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষক, সাম্মানিক সরকারি ভাতাপ্রাপ্ত কর্মী, চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মী গণনাকর্মী হতে পারবেন না।

একমাত্র প্রার্থী অথবা তাঁর পোলিং এজেন্ট নিজস্ব লোকসভা কেন্দ্রের সব টেবিলে যেতে পারবেন। কাউন্টিং এজেন্টরা নির্দিষ্ট নম্বরের টেবিল ছাড়া অন্য টেবিলে যেতে পারবেন না। গণনা কেন্দ্র থেকে একবার বাইরে বেরিয়ে গেলে আর কেউ ফের ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। শুধুমাত্র অবজারভার ও রিটার্নিং অফিসারদের ক্ষেত্রে এই নিয়মে নিষেধাজ্ঞায় ছাড় রয়েছে।

মিডিয়ার জন্য নির্দিষ্ট স্থান থাকবে গণনা কেন্দ্রে। গণনার যাবতীয় খবরাখবর দেওয়ার জন্য রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক মিডিয়া এনক্লেভে থাকবেন। গণনা কেন্দ্রের ভিতর ছবি করার জন্য একবারই ঢুকতে দেওয়া হবে।

এই মুহূর্তে গণনাকেন্দ্রগুলিতে চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি। রাজ্যে ৫০৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন সাড়ে সাত কোটির বেশি ভোটার।
একনজরে রাজ্যের ভোটচিত্র
মোট ভোটার- ৭,৬০,১০,০০৬।

মোট প্রার্থী- ৫০৭ জন।
স্ট্রংরুম- ৩৯৪টি।
গণনা কেন্দ্র- ৫৫টি।

গণনার জন্য ঘর- ৪১৮টি।
মোট গণনা টেবিল- ৪৯৪৪টি।

রাউন্ড- গড়ে ১৭-২৩। সবচেয়ে বেশি ২৩ রাউন্ড শীতলকুচি (৩১০ ভোটকেন্দ্র) ও দিনহাটা (৩১৮ ভোটকেন্দ্র) বিধানসভা কেন্দ্রে। সবচেয়ে কম ভোট গণনার রাউন্ড ৯। দার্জিলিং লোকসভার চোপরা বিধানসভা কেন্দ্রে।

গণনার কাজের জন্য নিযুক্ত এআরও- ৪১৮ জন।

পোস্টাল ব্যালট এবং ইটিপিবিএস গণনার জন্য ঘর- ৮৬টি।
মোট পোস্টাল ব্যালট- ৩,৩৭,৯৮১টি।
মাইক্রো অবজারভার সহ মোট গণনা কর্মী- ২৫ হাজারের বেশি।
গণনা টেবিল- একজন সুপারভাইজার, একজন গণনা সহায়ক এবং একজন মাইক্রো অবজারভার।

প্রতি রাউন্ডে একসঙ্গে ক’টি EVM খোলা হয়?
নির্বাচন কমিশন ভোট গণনার জন্য একাধিক রাউন্ডের ব্যবস্থা করে। পোস্টাল ব্যালটে প্রথম রাউন্ডে গণনা করা হয়। এরপর EVM খোলা হয়। এক রাউন্ডে ১৪টি টেবিলে, ১৪টি EVM একসঙ্গে খোলা হয়। EVM-এ পড়া ভোট গণনা শেষ হলে প্রথম রাউন্ড সম্পন্ন হয়।

কত রাউন্ড গণনা শেষে জয়-পরাজয়ের চিত্র মোটামুটি স্পষ্ট হয়?


এই বিষয়টি নির্ভর করছে নির্দিষ্ট আসনে কত ভোট পড়ছে তার উপর। অনেক আসনে আট থেকে ১০ রাউন্ডে ফলাফল জানা গেলেও অনেক আসনে বেশি ভোট পড়ার কারণে সময় বেশি লাগে। কিছু কিছু জায়গায় ১৪-২৪ রাউন্ড পর্যন্ত গণনা চলতে পারে। ওই আসনে কত বুথ রয়েছে, কত ভোট পড়েছে সেই সব বিষয়গুলি নির্ভর করে। এইসব বিষয়গুলির নিরিখে কিছু কিছু আসনে কয়েক রাউন্ড গণনা শেষেই স্পষ্ট হয় সম্ভাব্য জয়-পরাজয়ের চিত্র আবার কিছু কিছু আসনে একেবারে শেষ রাউন্ডেও ফলাফল উলটে যায় প্রত্যাশিত ফলাফলের থেকে। নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ভাবে গণনা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। দুপুরের মধ্য়ে ভোটের ট্রেন্ড মোটামুটি স্পষ্ট হবে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

গণনা কেন্দ্রে, নির্বাচনী কর্মকর্তারা ইভিএমের সিল খুলে একটি ‘কন্ট্রোল ইউনিট’ এবং একটি ‘ব্যালট ইউনিট’-এ আলাদা করেন। ‘কন্ট্রোল ইউনিট’ একটি ‘রিডিং মেশিন’-এর সাথে সংযুক্ত। ‘রিডিং মেশিন’ EVM-এ প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা নির্ধারণ করে এবং ‘গণনা শীটেট রেকর্ড করে। ‘গণনার শীটে’ নথিভুক্ত ভোটের সংখ্যা বিভিন্ন প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যার সঙ্গে মিলিত হয়। এই মিলটি ‘ভোটিং অফিসার’ এবং ‘পার্টি এজেন্ট’-এর উপস্থিতিতে করা হয়। ভোট গণনা সম্পন্ন হওয়ার পর, ‘গণনা কর্মকর্তা’ ফলাফল ঘোষণা করেন। ২০১০ সাল থেকে, ভারতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর সঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘ভোটার ভেরিফাইড পেপার অডিট ট্রেল’ (ভিভিপিএটি)ও। VVPAT হল একটি স্বাধীন ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা ভোটারের দেওয়া ভোটের একটি স্লিপ প্রিন্ট করে এবং একটি সুরক্ষিত বাক্সে রাখে। EVM-এ দেওয়া ভোটের রেকর্ড যাচাই করতে VVPAT ব্যবহার করা হয়। ভোট গণনা প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর, নির্বাচন কমিশন বিজয়ী প্রার্থী একটি শংসাপত্র প্রদান করে।

Previous articleCounting Votes: মঙ্গলে ভোটগণনা ,কাউন্টিংয়ের খুঁটিনাটি জানুন
Next articleBangladesh News:এক সপ্তাহে সুন্দরবনে মিলল ১৩৪ টি মৃত হরিণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here