দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কলকাতা পুরনির্বাচনের সমস্ত বুথে সিসিটিভি ব্যবহারের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এই নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বুথের পাশাপাশি স্ট্রং রুমেও সিসিটিভি ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই আদালত নির্দেশ দেয়, সবকটি বুথে ও গণনাকেন্দ্রে সিসিটিভি বসাতেই হবে। প্রধান বিচারপতি র ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আদালতে যে রায় দিয়েছে সেইমতো রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো বাস্তবায়িত করতে হবে।
কলকাতা পুরভোটে ২৫ শতাংশ বুথে সিসিটিভি ব্যবহারের কথা জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। এই মামলকারী আবেদনে জানান, গত নির্বাচনের পর এখানে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে। তা ছাড়া গত বার পুরসভার নির্বাচনে এক জন এসআই গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। এখানে কলেজ নির্বাচনেও পুলিশ আহত হয়। তাই অশান্তি এড়াতে পুলিশ বাহিনী বাড়ানো এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার জরুরি।
আবেদনকারীর বক্তব্য ছিল, এখনকার ব্যবস্থা অনুযায়ী, পুরভোটে ২৫ শতাংশ বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়। কিন্তু এবারের পুরভোটে ১০০ শতাংশ বুথেই সিসিটিভি বসাতে হবে। মামলাকারীর যুক্তি, ২০১৫ সালে কলকাতা পুরভোটের দিন অশান্তি হয়েছিল। বুথের সামনে গুলিতে জখম হয়েছিলেন এক সাব- ইনস্পেক্টর। তাঁর বক্তব্য, এখানে কলেজ নির্বাচনেও পুলিশ আহত হন। তাই অশান্তি এড়াতে ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য সমস্ত বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হোক।
মামলাকারীর আবেদনের প্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জানান, ইতিমধ্যে স্ট্রং রুমে ও স্পর্শকাতর এলাকাগুলির বুথে সিসিটিভি বসানোর জন্য রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বুথে সিসিটিভি লাগাতেও কোনও আপত্তি নেই। প্রায় চার হাজারের বেশি বুথ ও গণনাকেন্দ্রে সিসিটিভি বসানো হবে।
কিছুদিন আগেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র জানিয়েছিলেন, শান্তিপূর্ণ ভোট করার অভিজ্ঞতা কলকাতা পুলিশের আছে। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশকে দিয়েই কলকাতায় শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট করানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।
কলকাতা পুরসভায় ৪ হাজার ৮৪২ প্রধান বুথ এবং ৩৬৫টি অতিরিক্ত বুথ রয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশ মতো এই সব বুথ এবং স্ট্রং রুমে ব্যবহার করতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরা।