দেশের সময় কলকাতা: সন্দীপ ঘোষকে আজও সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়। টানা ৯ দিন সিজিওতে হাজিরা দিলেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের ১০০ ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। শুক্রবারও সন্দীপ ঘোষকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। ‘জিজ্ঞাসাবাদের নবমী’তে শনিবার সকাল সকালই পৌঁছে যান আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
অনুমতি আগেই মিলেছিল। শনিবারই কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে সন্দীপ ঘোষ এবং বাকিদের পলিগ্রাফ পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু হল। মোট ছ’জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষা হবে। দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের একটি বিশেষ দল এর জন্য কলকাতায় এসেছে।
শনিবারই সকলের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো যাবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের পলিগ্রাফ পরীক্ষাও শনিবার করতে পারে সিবিআই। তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন।
সূত্র মারফত জানা গেছে,সন্দীপ ছাড়াও আরজি করের চার জন চিকিৎসক পড়ুয়া এবং মূল অভিযুক্তের এক ঘনিষ্ঠের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হবে। সেই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। শনিবার সকালেই সিজিওতে পলিগ্রাফ পরীক্ষার তোড়জোর শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, একসঙ্গে সকলের পলিগ্রাফ পরীক্ষা হবে না। এক এক করে ছ’জনের পরীক্ষা করানো হবে। তা সময়সাপেক্ষ।
শুক্রবার ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানোর বিষয়েও তোড়জোর শুরু হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তাঁকে জেলের বাইরে এনে পরীক্ষা করানো হবে না কি জেলের ভিতরেই পলিগ্রাফ পরীক্ষা সম্ভব, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,এই পরীক্ষার ফলাফলে যা মিলবে, তা কিন্তু আদালতে প্রমাণ হিসাবে গ্রাহ্য হবে না। তদন্তের সুবিধার্থে এই পরীক্ষা করানো হয়ে থাকে। এই ধরনের পরীক্ষার জন্য যাঁর পরীক্ষা করানো হচ্ছে, তাঁর সম্মতি প্রয়োজন।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন সন্দীপ-সহ এই ছ’জন। তাঁরা গোয়েন্দাদের যা বলছেন, তা সত্য কি না, জানার জন্য পলিগ্রাফ পরীক্ষা করতে চেয়েছে সিবিআই।
অন্যদিকে সিটের তরফে এদিনই সমস্ত নথি সিবিআইয়ের অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই।
হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে মামলার যাবতীয় নথিপত্র সিবিআইকে হস্তান্তর করতে হবে। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সিটের তরফে ভবানীভবন থেকে সিআইডির একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়। তাঁরাই সমস্ত তথ্য হস্তান্তর করেন বলে খবর।