রাত পোহালেই শুরু হতে চলেছে ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। তার আগে বুধবার দেশের সময়-এর ক্যামেরায় চূড়ান্ত প্রস্তুতির ছবি ধরা পড়ল বইমেলা প্রাঙ্গণে। দেখুন ভিডিও
সব স্টলের কাজ প্রায় শেষের পথে। কোথাও কোথাও চলে এসেছে বইও। ইন্টারনেট এবং বাকি টেকনিক্যাল কাজ শেষ করতে দেখা গিয়েছে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের। বৃহস্পতিবার বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর গিল্ডের সদস্যদের নিয়ে স্পেন সফরে গিয়েছিলেন মমতা। প্রকাশনাকে শিল্পের স্বীকৃতি দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গিল্ডের সদস্যরা। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে এবার ছোট বড় প্রকাশনা সংস্থা, লিটল ম্যাগাজিন মিলিয়ে বইমেলায় স্টলের সংখ্যা ১০০০ ছুঁয়েছে।
ভারতের সবকটি রাজ্যে এবং পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলার স্টল থাকছে। প্রথমবারের মত মেলায় চালু করা হচ্ছে ডিজিটাল ম্যাপ। প্রত্যেকটি গেটে লাগানো থাকবে কিউআর কোড। স্মার্টফোনে সেই কোড স্ক্যান করলেই চলে আসবে ম্যাপ। এবার বইমেলায় নয়টি গেট থাকছে। তার মধ্যে থাকছে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১২৫তম জন্ম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গেট, বেথুন স্কুলের ১৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গেট, লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজের আদলে গেট। উদ্বোধনে সৃষ্টি সম্মান দেওয়া হবে সাহিত্যিক বাণী বসুকে।
প্রথমবারের জন্য বইমেলায় শুরু হবে সমরেশ মজুমদার স্মৃতি সম্মান। এবার সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেবেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। পার্কিং সমস্যা কাটাতে এবারে ছুটির দিনগুলোতে সরকারি অফিসের পার্কিং ব্যবহার করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে গিল্ডের তরফে। বিকাশ ভবন, কেএমডিএ ভবনের পার্কিংয়ে গাড়ি রাখতে পারবেন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে বিশেষ মেট্রো পরিষেবা থাকবে বইমেলা চলাকালীন। দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত ১২ মিনিট অন্তর চলবে মেট্রো। এবারে মেলায় অংশগ্রহণ করছে বিশ্বের ২০টি দেশ। ১২ বছর পর অংশ নিচ্ছে জার্মানি।