রিয়া দাস, বনগাঁ: উৎসব ছাড়া বাঙালির জীবন কেমন জানি অসম্পূর্ণ বলেই মনে হয়। তাই তো বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তবে সবচেয়ে বড় পার্বণ কিন্তু দুর্গাপুজো। সাধারণত রথের দিন থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে দুর্গোৎসবের অপেক্ষা শুরু হয় বাংলার নানা প্রান্তে। তাই এই পুজোর জন্য প্রায় সারাটা বছর ধরে দিন গুণতে থাকেন প্রায় প্রত্যেক বাঙালি।
জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছোট কিংবা বড় বিভিন্ন পুজোর প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। তবে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর ফুলতলা স্পোর্টিং ক্লাবের সার্বজনীন দুর্গাপূজার খুঁটি পুজোর আনুষ্ঠানিক সূচনা হল রাখি পূর্ণিমার দিন ৷ পুজোর ঢাকে পড়ে গেল কাঠি! বেজে গেল পুজোর বাদ্যি! দেখুন ভিডিও
ক্লাব প্রাঙ্গনে সারম্বরের সাথে অনুষ্ঠিত হল খুঁটি পুজোর। প্রাচীন রীতি মেনে ফুলতলা স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো কমিটির পক্ষ থেকে এদিন খুঁটি পুজো হয় ৷ খুঁটি পুজোর পর রীতি মেনে খুঁটি পোঁতা হয় যশোর রোডের এক প্রান্তে। ক্লাব সদস্য ও স্থানীয়রা মিলিত হয়ে এই পুজোর আয়োজন করেন।
বনগাঁ পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড ও জয়পুর এলাকার একাংশ জুড়ে বাসিন্দারা এই পুজোয় সামিল হয়ে থাকেন৷ ক্লাব পুজো কমিটির সদস্যরা জানাচ্ছেন, তাঁদের পুজো এবার ২৩ তম বর্ষ৷ প্রতিবারের মতো এবছরও স্থানীয়রা মিলিত হয়ে পুজোর সূচনা করলেন ৷
উদ্যোগতারা জানালেন গত কয়েক বছর ধরে থিমের পুজো করছেন। থিমের পুজো দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। এবারো থিমের পুজো হবে। গ্রাম বাংলার থিম তুলে ধরা হবে পুজোর মধ্যে দিয়ে । থিমে বিশেষ আকর্ষণ থাকছে।
পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের কথায়, এ বছর আমাদের পুজোর মূল আকর্ষণ থিমের পুজো। আগে আমরা সাধারণ পূজা করতাম। এ পুজোকে আমরা আরও ভালো করার ধীরে ধীরে চেষ্টা করছি। আগামীতে দূরদূরান্তের দর্শকরা যাতে পুজোর ঘুরতে আসেন তারই চেষ্টা চলছে। আজ খুঁটি পূজার মধ্যে দিয়ে আমাদের পুজোর সূচনা করা হয়। এক সদস্যের কথায়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুদানের কথা মাথায় রেখে এবারের পুজোয় আরও বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ থাকছে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি ও ডেঙ্গু সচেতনতা শিবির এবং বিডিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ৷