দেশের সময় : রক্ষাকালী মায়ের আশীর্বাদে নাকি এলাকায় পুজোয় জড়িত কোনও সদস্য ও তাঁর পরিবারের লোকেরা বেকার নেই। কেউ সরকারি স্কুলের শিক্ষক। কেউ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আবার কেউ রপ্তানিকারক থেকে অন্যান্য সরকারি দফতরে চাকুরিরত। এলাকার প্রবীণদের কথায়, কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বহু বছর আগে উত্তর২৪পরগনার বনগাঁর ১২-র পল্লী এলাকার প্রবীণেরা শুরু করেছিলেন রক্ষাকালী মাতার পুজো (Rakshakali Puja)। আর সেই থেকেই রক্ষা কালী মা আজ পর্যন্ত এই পুজোয় জড়িত প্রতিটি সদস্য তার পরিবারদের আশীর্বাদে ভরিয়ে তুলেছেন।

স্বচ্ছ জীবন যাপন, নিরোগ শরীর, স্বনির্ভর হওয়া থেকে শুরু করে সারা বছরই খুশির মহল থাকে বনগাঁ শহরের ১২ -র পল্লী স্পোর্টিং ক্লাব এলাকার মা রক্ষাকালী পুজোর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের।

আইএনটিটিইউসি-র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নারায়ণ ঘোষ তথা ১২-র পল্লী স্পোর্টিং ক্লাব সম্পাদক জানান , রক্ষাকালী মূর্তি তৈরি থেকে পুজোর আয়োজনের সমস্ত খরচ অলৌকিকভাবেই জোগাড় হয়ে যায়। রক্ষাকালী মায়ের অফুরন্ত আশীর্বাদ পেয়েই এখন লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নতুন করে এই কালী মন্দির তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এই পুজোর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দা নিত্য দাস বলেন, বহু প্রাচিন এই পুজো দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন এলাকারই প্রবীণ ব্যক্তিত্বরা। যাদের হাত দিয়ে পুজোর শুরু হয়েছিল ফাল্গুন মাসে এই তিথিতেই । তাই তাঁদের সেই পুজোর শিকড় ধরে রেখেছেন এলাকার কালী মন্দির কমিটি। রক্ষা কালী মায়ের মূর্তি স্থাপন হয়েছে বহু পুরনো নিম গাছের নীচে এবং নিম গাছের গুঁড়িতে মায়ের প্রতীকী মূর্তিও পুজো করার রিতি রয়েছে এখানে।

এই পুজোর সঙ্গে জড়িত যারা রয়েছেন তাঁরা কেউ বেকার নেই। এই পুজোকে ঘিরে অনেক ধরনের গল্প কথিত রয়েছে। কেউ বলেন, একসময় এই এলাকারই এক প্রবীণ নাগরিককে দেবী রক্ষাকালী স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই পুজোর শুরু।

নিত্য বাবুর কথায়, এখানে মা এতটাই জাগ্রত যে কারও মনস্কামনা অপূরণ রাখেন না। অন্তত এই রক্ষা কালী মাতার কাছে প্রাণভরে পুজো দিলেই বেকারদের কর্মসংস্থানের দরজা খুলে দেন স্বয়ং দেবী রক্ষাকালি মাতা। এই পুজোর সঙ্গে জড়িত যারা রয়েছেন তারা প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী অথবা সরকারি কর্মচারী। মা নাকি কাউকে অভুক্ত রাখেন না। ফাল্গুন মাসের অমাবস্যা তিথিতে রক্ষাকালী মাতার পুজোর আয়োজন অদ্ভুতভাবে জোগাড় হয়ে যায়। এবছর পাঁচ হাজার মানুষ প্রসাদ গ্রহণ করেছেন । পুজোর দিন ১৪২ টি ঢাক -ঢোল বাজিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় ।