Kabul explosion: কাবুলের মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বহু মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা

0
813

দেশের সময়: বুধবার রাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল। মসজিদে সন্ধ্যার প্রার্থনা চলাকালীন বিস্ফোরণটি হয়। এখনও পর্যন্ত খবর, অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম বহু। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে।

কাবুল নিরাপত্তা বিভাগের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানিয়েছেন, কাবুলের ১৭তম নিরাপত্তা জেলায় ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা অনেক। কিন্তু তা কত, বলতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, উত্তর কাবুলে এই বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, আশপাশের বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। জানলা, দরজা খুলে পড়ে। কাবুল পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, মসজিদের বিস্ফোরণে অনেকেই মারা গিয়েছেন। তবে সেই সংখ্যাটা কত, এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মৃতদের মধ্যে ওই মসজিদের ইমামও রয়েছেন। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দারাও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।তালিবান সরকারের তরফেও সরকারিভাবে হতাহতের সংখ্যা জানানো হয়নি।

টোলো নিউজ জানিয়েছে, সরকোটেল খৈরখানে এলাকার সিদ্দিকিয়া মসজিদে এই বিস্ফোরণ ঘটে। সেই সময় সেখানে সন্ধ্যার নামাজ পাঠের জন্য বহু নামাজি জড়ো হয়েছিলেন। বেসরকারি সূত্র মতে বিস্ফোরণে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন মৌলবী আমির মহম্মদ কাবুলিও। তিনি একজন বিশিষ্ট তালিবান ধর্মীয় পণ্ডিত। এছাড়া আরও ৪০ জন আহত হয়েছেন। তবে তালিবান সরকারের পক্ষ থেকে এখনও হতাহতের সংখ্যার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

কাবুলের ইমার্জেন্সি হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের পর ৫ শিশুসহ ২৭ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক শিশুর বয়স মাত্র ৭।

প্রসঙ্গত উন্নেখ্য,গত বৃহস্পতিবারই (১১ অগস্ট) কাবুলে এক আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হয়েছিল শেখ রহিমুল্লাহ হক্কানি নামে এক তালিবানি ধর্মগুরুর। ওই ক্ষেত্রেও একটি মাদ্রাসাতেই হামলা হয়েছিল। হামলাকারীর একটি পা ছিল না। তার জায়গায় ছিল প্লাস্টিকের তৈরি কৃত্রিম পা। সেই কৃত্রিম পায়ের ভিতরেই বিস্ফোরক লুকিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশ করেছিল হামলাকারী। গত অগস্টে তালিবানরা ক্ষমতা পুনর্দখলের পর থেকেই, আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট খোরাসান বা আইএসকেপি জঙ্গি গোষ্ঠী একাধিক হামলা চালিয়েছে। এর পাশাপাশি ক্রমে শক্তি বাড়াচ্ছে নর্দান রেসিস্ট্যান্স ফোর্সের মতো তালিবান বিরোধী আফগান যোদ্ধা গোষ্ঠীগুলিও। তবে এখনও পর্যন্ত এদিনের হামলার কেউ দায় স্বীকার করেনি।

Previous articleManasa Puja : মনসা পুজোয় বনগাঁ পেট্রাপোল সীমান্ত যেন দুই বাংলার মিলন মেলার অঙ্গন
Next articleTerrorists Arrested: আল কায়দার শাখা সংগঠনের দুই জঙ্গি গ্রেফতার শাসনে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here