
পহেলগামে জঙ্গি হামলার ঘটনায় জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটনের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলত তা সকলেই বুঝে গেছিলেন। বর্তমানে হচ্ছেও তাই। হোটেল থেকে শুরু করে ফ্লাইট, সবকিছুর বুকিং বাতিল করা হচ্ছে। এক কথায়, যে সময়ে ভূ-স্বর্গে পর্যটকদের জনসমুদ্র থাকার কথা, সেই সময়ই তা জনশূন্য হয়ে পড়ছে। আর পরিস্থিতিতে ভিড় বাড়ছে অন্য একাধিক পর্যটন কেন্দ্রে। তার মধ্যে রয়েছে সিকিম , দার্জিলিং ।

জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলওয়ামা হামলার পর এটাই জম্মু-কাশ্মীরে সবথেকে বড় জঙ্গি হানা বলে দাবি করছেন সকলেই। এই অবস্থায় ভূ-স্বর্গের পর্যটন শিল্পে খরা দেখা দিতে শুরু করেছে। আর স্বাভাবিকভাবেই বিকল্প ঘোরার জায়গা খোঁজা শুরু করেছেন মানুষ। এমনই সময়ও এইসব জায়গায় ভিড় থাকে বটে। তবে এই মুহূর্তে কাশ্মীর ট্যুর পুরোপুরি বাতিল হওয়ায় দার্জিলিং, সিকিমে কার্যত পা রাখার জায়গা থাকছে না।

দার্জিলিং, কালিপং সহ উত্তরবঙ্গের নানা হিল স্টেশনে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। গত মঙ্গলবারের পর থেকেই বাড়ছে হোটেল, হোমস্টে বুকিং। সিকিমের একাধিক জায়গারও একই হাল। তবে শুধু পাহাড় নয়, জঙ্গলের দিকেও ঝুঁকছেন মানুষ। তাই ডুয়ার্সেও বুকিংয়ের ছড়াছড়ি। স্বাভাবিকভাবে ট্রেনের টিকিটের চাহিদাও এখন তুঙ্গে। কেউ কেউ তৎকালে বেশি দাম দিয়েও টিকিট কেটে নিচ্ছেন। গরমে বেশিরভাগ মানুষই পাহাড় যেতে চান। সেক্ষেত্রে কাশ্মীর ‘অটোমেটিক চয়েস’ হয়ে যায়। কিন্তু জঙ্গি হানার ঘটনায় আতঙ্কিত সবাই। তাই পছন্দের জায়গা বদলে ফেলছেন তাঁরা।

তবে এটাও বলা যায় পর্যটকদের একাংশের জন্য সময়টা মনে হয় ভাল যাচ্ছে না। কারণ এই সময়ে যারা সিকিম যাওয়ার টিকিট কেটেছেন তাঁদের অন্য কারণে ভুগতে হবে। আসলে সম্প্রতি লোনাক হ্রদ ভেঙে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল উত্তর সিকিমে। ধীরে ধীরে সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার মুখে ফের জোড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা।

উত্তর সিকিমের রাস্তায় আটকে রয়েছে প্রায় ২০০টি গাড়ি। আটকে পড়েছেন প্রায় হাজার পর্যটক। সব মিলিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি। যার জেরে উত্তর সিকিমের লাচেন-চুংথাংয়ের পারমিট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শুক্রবারও অঝোরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার বিকেলের আগে পরিস্থিতির বদল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
