সাইরেন বাজলেই বাসিন্দাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাঙ্কারের মধ্যে থাকার কথা জানিয়েছে সেখানকার প্রশাসন। প্রয়োজনীয় খাবার, জল নিয়ে বাঙ্কারের মধ্যেই বাকিদের সঙ্গে দিন কাটাতে হচ্ছে।
দেশের সময়, বনগাঁ:ক্রমেই ভয়ংকর আকার ধারণ করছে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ। মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধ ঘিরে তপ্ত আন্তর্জাতিক রাজনীতি। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইজরায়েলে আটকে পড়েলেন বনগাঁর এক যুবক। ১৯ মার্চ বনগাঁর শক্তিগড়ের বাসিন্দা সাত্যকি কুণ্ড উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি দেন ইজরায়েলে। পদার্থবিদ্যয় গবেষণা করতে ইজরায়েল পাড়ি দেন সাত্যকি। ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েলে যুদ্ধের পরিস্থিতি। আর সেই নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছিল সাত্যকির পরিবার।
কলকাতায় পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি শেষ করেছেন সাত্যকি। পোস্ট ডক্টরেট করার জন্য ইজরায়েলে পাড়ি দেন তিনি। চলতি বছর ১৯ মার্চ ইজরায়েল যান সাত্যকি। ৯ অক্টোবর ছুটিতে বাড়িতে আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু যুদ্ধের কারণে তাঁর ফেরার বিমান বাতিল হয়ে যায়। তবে মঙ্গলবার সকালে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে সাত্যকির। ভিডিয়ো কলে ছেলেকে দেখে সাময়িক স্বস্তি পেলেও দুশ্চিন্তা কাটছিল না পরিবারের। সাত্যকি পরিবারকে জানান, তাঁর টিকিট কাটা হয়ে গিয়েছে। দ্রুত তিনি কলকাতায় ফিরে আসবেন।
সেই মতো বুধবার যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইজরায়েল থেকে বাড়িতে ফিরলেন বনগাঁর যুবক সাত্যকি কুন্ডু ৷
এদিন তার বাড়ি পৌঁছানোর খবর পেতেই বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ সহ পৌর কর্মচারীরা তাকে সম্বর্ধনা জানাতে তার বাড়ি যান ৷ ছেলেকে বাড়িতে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তার মা-বাবা সহ গোটাপরিবার৷
এ বিষয়ে সাত্যকি কুন্ডু বলেন, পুজোর আগে আমার বাড়ি আসার কথা ছিল আর সেই সময়ই যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয় ইজরায়েলে ৷ সে দেশের সরকার যথেষ্ট ভাবে আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছে কিন্তু ভারত সরকার তেমনভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেনি ৷ তবে বাড়িতে ফিরে আসতে পেরে খুবই ভালোলাগছে ৷
সাত্যকির মা বুলা কুণ্ডু বলেন, পুজোর আগে ছেলের বাড়ি আসার কথা ছিল আর তার মধ্যে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে স্বাভাবিকভাবেই ছেলে বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত চিন্তায় ছিলাম যদিও ওর সাথে আমরা যোগাযোগ করতে পারছিলাম ছেলে বাড়ি ফিরে আসায় আমরা খুশি
এ বিষয়ে পৌরপ্রধান গোপাল শেঠ বলেন ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে স্বাভাবিকভাবেই আমরা খুশি, সাত্যকি আসায় পুজোর আগেই যেন একটা উৎসবে মেজাজ তৈরি হয়েছে বনগাঁয় ৷ আম ওকে বাড়িতে তার পরিবারের সঙ্গে দেখতে পেয়ে আনন্দিত আপ্লুত ৷