অর্পিতা বনিক, বনগাঁ: একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।মাতৃভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পূর্ণ হল এদিন।
রফিক, সালাম, বরকতদের রক্তে রাঙা হয়েছিল অবিভক্ত বাংলাদেশ। সেদিন বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন হয়েছিল। ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস পালনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় নানাবিধ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। তবে ভাষা দিবসের প্রাক্কালে সীমান্তশহর বনগাঁয় পুরসভার উদ্যোগে সোমবার সন্ধ্যায় বিএসএফ ক্যাম্প মোড়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷
পুর প্রধান গোপাল শেঠ বলেন,‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি শুনলেই যেন অশ্রুসিক্ত হয়ে যান বাঙালিরা। প্রাণের আকুলতার চিরচেনা এ গানটি কানে বাজলেই অনুভব করতে পারি দরজায় কড়া নাড়ছে ২১শে ফেব্রুয়ারি। তিনি আরও জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বিএসক্যাম্প মোড়ের সহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে একুশের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়৷ এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখিকা দেবারতি মুখোপাধ্যায়, চিত্র শিল্পী মোহিনী বিশ্বাস তাঁর আঁকা ছবি “মা” কে নিয়ে মঙ্গলবার সকালেই পশ্চিমবঙ্গের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মহাশয় ওপার বাংলার প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেবেন এবং এই ছবিটি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে বনগাঁ পুরসভার সহযোগিতায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার স্বরুপ পাঠানো হচ্ছে৷
আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (Ritabrata Banerjee)। বলেন,অন্যান্যবার এই দিনটিতে ঢাকাতেই থাকি কিন্তু এবছর যেতে পারিনি তবে এখানে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগলো এবং অন্যরকম অনুভূতি ৷
সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের সূচনা থেকেই শহীদ বেদীতে স্থানীয় মানুষের ভিড়ছিল চোখে পড়ার মতো ৷ এদিন মঞ্চে ছিল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ৷
দেবাশিস রায়, জয়ন্ত সাউ, অসীম পালের মতো বহু ফোটোগ্রাফাররা কলকাতা থেকে সোমবারই বনগাঁয় চলে এসেছিলেন ৷ তাঁরা পেট্রাপোলসীমান্তে একুশের অনুষ্ঠানকে ক্যামেরাবন্দি করার তাগিদে ৷