দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আগামিকাল বা বুধবার পূজিত হবেন সিদ্ধিদাতা গণেশ ৷ পুজো ও পার্বণের সঙ্গে জড়িয়ে যায় তিথির নামও ৷ ভাদ্রমাসের শুক্লাপক্ষের চতুর্থী তিথিতে তিনি পূজিত হন ৷ তাই তাঁর উপাসনার মাহেন্দ্রক্ষণকে বলা হয় গণেশ চতুর্থী ৷ দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে বাংলাতেও এখন গণপতির পুজো করা হয় সাড়ম্বরে ৷ শুভকাজে সিদ্ধিলাভের জন্য তাঁর শরণাপন্ন হন ভক্তরা ৷
সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি ও সিদ্ধির দেবতা গণেশের পুজোর দিন এ বছর পড়েছে ৩১ অগাস্ট বা ১৪ ভাদ্র, বুধবার ৷ গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকা মতে, চতুর্থী তিথি শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার দুপুর ২ টো ৪১ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে ৷ এই পুণ্যতিথি থাকবে বুধবার দুপুর ২টো ৬ মিনি
ট ৫৩ সেকেন্ড পর্যন্ত ৷ অন্যদিকে, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনু্যায়ী, মঙ্গলবার দুপুর ৩ টে ৩৫ মিনিটে চতুর্থী শুরু হচ্ছে ৷ থাকবে বুধবার দুপুর ৩ টে ২৩ মিনিট পর্যন্ত ৷
সিদ্ধিদাতার পুজোর প্রথম পর্ব হল আহ্বান ও প্রাণপ্রতিষ্ঠা৷ প্রদীপ জ্বালিয়ে মন্ত্রপাঠ সহকারে এই পর্বের পর গণপতিকে উৎসর্গ করা হয় ভোগপ্রসাদ ৷ তার পর আরতি করে গণপতিকে স্বাগত জানানো হয় গৃহে ৷ এর পর ষোড়শপচারে পুজো করা হয় ৷
ষোড়শ অর্থাৎ ষোলটি উপচার বা অর্ঘ্য নিবেদন করা হয় তাঁকে ৷ বিগ্রহের পদসেবা করা হয় ৷ পা ধুইয়ে তাঁকে ঘি, দুধ, মধু, দই ও চিনি দিয়ে স্নান করানো করা হয় ৷ একে বলা হয় ‘পঞ্চামৃত স্নান’৷ তার পর স্নানার্ঘ্য দেওয়া হয় সুবাসিত তেল ও গঙ্গাজল ৷
তার পর বিগ্রহকে সাজানো হয় ফুলের মালা, নতুন বস্ত্র ও চন্দনলেপনে ৷ উৎসর্গ করা হয় ফুল ও দূর্বাঘাস ৷ গণপতি আরাধনার আর এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ‘উত্তরপূজা’৷ পূজা সমাপনে পরের দিন সব রীতিনীতি মেনে গণপতি বাপ্পাকে নিরঞ্জনের পালা ৷ সঙ্গে তাঁর কাছে জানানো হয় আগামী বছর আবার আসার প্রার্থনা ৷