দেশের সময় , বনগাঁ: লাখ লাখ টাকার প্রতারণা। এবার ঘটনা বনগাঁর। লরি দেওয়ার নাম করে প্রায় সাড়ে নয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। ধৃতের নাম কামালউদ্দিন মণ্ডল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,বনগাঁ থানা এলাকারই জয়পুরের বাসিন্দা ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। দীর্ঘদিন ধরে এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়ে বেরাচ্ছিল অভিযুক্ত কামালউদ্দিন। শেষে রবিবার বনগাঁ থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
সোমবার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বনগাঁ আদালতে পেশ করা হয়েছিল। পুলিশের তরফে আদালতে অভিযুক্তকে সাতদিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে বিচারক ধৃত কামালউদ্দিন মণ্ডলকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন ময়নাগুড়ির নবিউল ইসলাম নামে এক যুবক। তিনি বনগাঁ থানা এলাকার জয়পুরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সেখানেই কামালউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। জানা গিয়েছে, নবিউলকে কামালউদ্দিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল একটি লরি দেওয়ার।
সেই কারণে দফায় দফায় টাকা নিয়েছিল নবিউলের থেকে। ধাপে ধাপে সাড়ে নয় লাখ টাকা নেওয়া হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ।
কিন্তু এরপর লরি না দিয়েই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় কামালউদ্দিন। হঠাৎ করে এতগুলি টাকা নিয়ে কামাল বেপাত্তা হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়ে নবিউলের। বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপর আর দেরি না করে পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানান তিনি।
সেই মতো পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল। কিন্তু কিছুতেই কামালউদ্দিনের খোঁজ পাচ্ছিলেন না পুলিশকর্মীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পালিয়ে পালিয়ে বেরিয়েও শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে পারল না কামালউদ্দিন। তদন্তে নামার পর থেকেই পুলিশ তক্কে তক্কে ছিল। শেষ পর্যন্ত রবিবার গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
ধৃত কামালকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই ঘটনার আরও গভীরে পৌঁছে যেতে চাইছে বনগাঁ থানার পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ কেউ জড়িত কি না, সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷