সম্প্রতি কলকাতার এক অন্যতম জনপ্রিয় হোটেল পার্ক প্রাইম-এ তিন দিনব্যাপী গোয়ান সি ফুড ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই উৎসবটি ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে এবং এটি শহরের খাদ্যপ্রেমীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে। এই উৎসবে অতিথিরা উপভোগ করলেন গোয়ার সুস্বাদু সামুদ্রিক খাবারের এক বিশাল সম্ভার, যা প্রস্তুত করেছেন অভিজ্ঞ শেফরা।
গোয়ার প্রখ্যাত শেফ পরিমল মাঝি এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন। উদ্বোধনী দিনে, কলকাতার বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি ও খাদ্যপ্রেমী উপস্থিত ছিলেন। পার্ক প্রাইম হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী উমেশ বেহরা বলেন, “গোয়ান সি ফুড ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে আমরা কলকাতার বাসিন্দাদের জন্য গোয়ার আসল স্বাদ নিয়ে এসেছি। আমাদের লক্ষ্য হল সামুদ্রিক খাবারের প্রেমীদের জন্য একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা প্রদান করা।”
উৎসবে গোয়ার ঐতিহ্যবাহী নানা সুস্বাদু সামুদ্রিক খাবার পরিবেশিত হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
গোয়ান প্রন কারি – নারকেল দুধ ও মশলার সাথে রান্না করা সুগন্ধী চিংড়ি।
রাভা ফ্রাইড পমফ্রেট – সুজি মাখানো ও সোনালি রঙে ভাজা পমফ্রেট মাছ।
ক্র্যাব জ্যাক জ্যাক – নারকেল ও গরম মশলার সংমিশ্রণে ধীর আঁচে রান্না করা কাঁকড়া।
রেচাদো ফিশ – গোয়ার বিখ্যাত লাল মশলা দিয়ে ম্যারিনেট করা ও গ্রিল করা মাছ।
সামুদ্রিক গ্রিল প্ল্যাটার – লবস্টার, স্কুইড, কিং ফিশসহ বিভিন্ন গ্রিলড আইটেম।
উৎসবে লাইভ কুকিং স্টেশন ছিল, যেখানে অতিথিরা তাদের পছন্দমতো সামুদ্রিক খাবার প্রস্তুত করিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ২৬ জানুয়ারি বিশেষ বুফে লাঞ্চ আয়োজন করা হয়, যা উৎসবের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে।
খাদ্যের পাশাপাশি গোয়ার সংস্কৃতির ছোঁয়া দিতে উৎসবে ছিল গোয়ান লোকসংগীত, ড্যান্স পারফরম্যান্স এবং সাজসজ্জা। এতে অতিথিরা গোয়ার প্রকৃত পরিবেশ অনুভব করতে পেরেছেন। এই ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনা উৎসবটিকে যেন আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছিল।
উৎসবে উপস্থিত এক অতিথি জানান, “কলকাতায় থেকে গোয়ার খাবারের এত সুন্দর স্বাদ পাওয়া সত্যিই অসাধারণ। প্রতিটি পদই ছিল একেবারে খাঁটি এবং সুস্বাদু।”
পার্ক প্রাইম হোটেলের এই গোয়ান সি ফুড ফেস্টিভ্যাল কলকাতার সি ফুড প্রেমীদের কাছে একটি দারুণ অভিজ্ঞতা হয়ে উঠছে। যারা সামুদ্রিক খাবার ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই ধরনের উৎসব অবশ্যই একটি বিশেষ আকর্ষণ। এই উৎসবটি শুধুমাত্র কলকাতার সি ফুড প্রেমীদের জন্যই নয়, বরং গোয়ার আসল স্বাদ অনুভব করতে চাইলে এটি এক বিশেষ অভিজ্ঞতা।