দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বীরভূমের লাভপুরে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে স্পিড বোট উল্টে কুয়ে নদীতে পড়ে গেলেন জেলাশাসক, দুই সাংসদ-সহ মোট ১৩ জন। বরাত জোরে রক্ষা পেলেন তাঁদের সঙ্গেই থাকা জেলার পুলিশ সুপার। দুর্ঘটনার জেরে যারপরনাই অস্বস্তিতে পড়ে যান সকলেই। যদিও সকলকেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে লাভপুরে কমবেশি ১৫ টি গ্রাম। যার মধ্যে ছয় থেকে সাতটি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। বুধবার বিকেলে লাভপুরের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সামিরুল ইসলাম,অসিত মাল-সহ মোট ১৩ জন।
তাঁরা স্পিডবোটে চেপে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করছিলেন। আচমকা স্পিডবোট জলের তোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বাদে প্রত্যেকেই জলে পড়ে যান। দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দা এবং উদ্ধারকারীর দল তৎপরতার সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে। অধিকাংশরই কাক ভেজা অবস্থা হয়।
স্পিডবোটে থাকা কারও গায়েই সেফটি জ্যাকেট ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনার নিরাপত্তার ঘাটতির বিষয়টিও সামনে আসছে। যদিও এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি। স্পিড বোটে থাকা এক কর্তা বলেন, ‘বাঁশ ঝাড়ে লেগে স্পিড বোটের প্রপেলার খারাপ হয়ে যায় ও উল্টে যায়। তার জেরেই সবাই জলে পড়ে যান। স্পিডবোটে লাইফ জ্যাকেট ছিল না।’ অসিত মাল বলেন, ‘সাঁতার জানলেও প্রায় তলিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। আচমকাই এই ঘটনা ঘটে।’