আর জি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষকে সিবিআইয়ের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। প্রায় সাাড়ে ১৩ ঘণ্টা পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোলেন সন্দীপ ঘোষ। গতকালের পর শনিবারও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই।
শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ সিজিওতে যান সন্দীপ। রাত সওয়া ১১টা নাগাদ সন্দীপকে ছাড়া হয়।
এদিন সকাল ১০টা থেকে সন্দীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। এদিন সকাল ১০টায় অ্যাপ ক্যাবে চেপে পিছনের গেট দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স প্রবেশ করেন সন্দীপ। রাত সওয়া ১১টার পরও ঘড়ির কাটা পেরিয়ে এখনও সিজিও কমপ্লেক্সে থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে শুরু থেকেই প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগে বিদ্ধ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সিবিআইয়ের তরফে কী কী প্রশ্ন রাখা হয়েছে তাঁর সামনে?
সূত্রের খবর, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তাঁর সামনে রাখা হয়েছে।
১। নিহত চিকিৎসকের দেহ যখন উদ্ধার হল সেই সময় তাঁকে কে সেই খবরটি প্রথম দিয়েছিল? সেই খবর পাওয়ার পর তাঁর ভূমিকা কী ছিল?
২। এরপর তিনি তাঁর সহকর্মী কাকে , কী, কী নির্দেশ দিয়েছিলেন?
৩। নিহত চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে কে কথা বলেছিলেন?
৪। এই মৃত্যু নিয়ে টালা থানা কিংবা কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কিছু জানিয়েছিলেন কি না?
৫। চিকিৎসকের মৃত্যুর ৩ দিন পর তিনি পদক্ষেপ করেছিলেন, সেই দু’দিনে তিনি কী কী প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন?
৬। নির্যাতিতার সঙ্গে কীরকম সম্পর্ক ছিল তাঁর? কোনওদিন কথা হয়েছিল?
৭। বর্তমান অধ্যক্ষকে কী বার্তা দিয়ে এসেছেন?
এদিকে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ফের অসংবেদনশীল আচরণের বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন নিহত চিকিৎসকের বাবা। তিনি বলেন, ‘ডিপার্টমেন্টের গাফিলতি যদি না থাকবে, আজ পর্যন্ত ডিপার্টমেন্ট আমাদের সাথে কোনও কথা বলেনি। উল্টে অধ্যক্ষ বলছে আমার ঘরে আসতে হবে আমার সঙ্গে কথা বলতে হলে, প্রথম দিনই যেদিন আমার মেয়েটা মারা গেছে।’
আরজি করের নির্যাতিতার কাকিমাও অভিযোগ করেছেন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘উনি তো আমাদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করেননি প্রথম দিন থেকে। যাঁর কলেজে একজন মেয়ে এরকমভাবে, এত নৃশংসভাবে এরকমটা তাঁর তো অন্ততপক্ষে বাবা-মার সঙ্গে তো একবার কথা বলা উচিত ছিল। এখনও পর্যন্ত উনি কোনওরকম কোনও সহযোগিতা করেননি’।