দেশের সময় : আজ শনিবার ভারতজুড়ে পালিত হচ্ছে ঈদ-উল-ফিতর । শুক্রবারই দেখা গিয়েছিল ঈদের চাঁদ। পবিত্র রমজান মাসের শেষে উৎসবে মেতে উঠেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। এদিন সকালেই ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সকল দেশবাসীর সুস্বাস্থ্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী। পাশাপাশি সমাজে সম্প্রীতি ও সহানুভূতি আরও প্রসারিত হওয়ার কামনা প্রকাশ করেন তিনি ৷ আজ সকালেই টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি টুইটে লেখেন, “ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা সকলকে। আমাদের সমাজে সম্প্রীতি ও সহানুভূতির চেতনা আরও প্রসারিত হোক। সবার সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতা কামনা করছি। ঈদ মোবারক!” এদিকে দেশে জুড়ে মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে খুশির ঈদ। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। তিনি টুইটে লিখেছেন, “আমি সকল দেশবাসীকে বিশেষ করে মুসলিম ভাই-বোনদের ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানাই। ভালবাসা ও সমবেদনার উৎসব ইদ আমাদের অন্যদের সাহায্য করার বার্তা দেয়। উৎসবের এই শুভ দিনে আসুন আমরা সবাই সমাজে ভ্রাতৃত্ব বোধ ও পারস্পরিক সম্প্রীতি বৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করি।”
পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।খুশির ঈদে শান্তির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। শনিবার সকালে রেড রোডে ঈদ উপলক্ষে হওয়া এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, ‘‘সকলে শান্তিতে থাকুন।
খুশির ঈদে সম্প্রীতির বার্তা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যে চাঁদ দেখে ইদ পালন করা হয়, তার কি কোনও ধর্ম আছে? বাংলায় ধর্মের নামে কোনও ভেদাভেদ নেই বলে আজ সাফ জানিয়েছেন অভিষেক।
শুক্রবার রাত পর্যন্তও চলেছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। প্রবল গরম এবং তাপপ্রবাহকে অপেক্ষা করেই চলছিল উৎসবের প্রস্তুতি। করোনা অতিমহামারীর কারণে গত দু বছর ঈদের কেনাকাটায় অনেকটাই ভাটা পড়েছিল। তবে সেই তুলনায় এই বছর বিক্রিবাটা বেশ ভালই হয়েছে, জানাচ্ছেন দোকানদাররাই। গ্রাম মফস্বলেও দিব্যি রাত অবধি খোলা থেকেছে দোকান, বিকিকিনি চলেছে নিজের ছন্দে। কলকাতা তো বটেই, রাজ্যজুড়েই বিভিন্ন শহরে ঈদের প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আলোর মালায় সেজে উঠেছে শহর তথা রাজ্য।
কলকাতায় রেড রোডে (Red Road Namaz) ঈদের নামাজ পড়ার বন্দোবস্ত করা হয়। প্রতি বছরের মতো এই বছরেও সেই প্রার্থনার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই দেশবাসীকে পবিত্র ঈদ উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। উৎসবের আবহে কোথাও যেন কোন অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে গোটা শহর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। শহর জুড়ে সাড়ে তিন হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে বলে জানা গেছে। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ পিকেটও থাকবে।
ঈদে যে বৃষ্টি হতে চলেছে সে পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। কয়েকদিন ধরেই কাঠফাটা গরম থাকলেও শুক্রবার থেকেই মেঘের দেখা মিলেছে আকাশে। তাপমাত্রা একধাক্কায় কমেছে বেশ খানিকটা, নেই গরম হাওয়ার হলকাও। আজ শনিবার রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে গরম থাকেলেও এবারের ঈদ বেশ ভালভাবেই কাটতে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ঈদ উপলক্ষে মানুষের সুবিধার্থে শনি ও রবিবার অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২১ ও ২২ এপ্রিল রাতে শিয়ালদহ থেকে মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণপুর পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন দেওয়া হবে। শিয়ালদহ -কৃষ্ণপুর মেমু স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে শুক্রবার রাত ৯ টা ৩৮ মিনিটে। কৃষ্ণপুরে পৌঁছবে রাত ২ টো ৩৫ মিনিটে। পরের দিন অর্থাৎ শনিবার সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে কৃষ্ণপুর থেকে ট্রেন ছাড়বে। শিয়ালদহ পৌঁছবে দুপুর ৩ টে ২০ মিনিটে।