চার্জশিটে নাম উল্লেখ আরও দুই রেশন ডিস্ট্রিবিউটার ও চারটে সংস্থার বিরুদ্ধে। এই দুই ব্যবসায়ীর মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির প্রায় হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে চার্জশিটে।
দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রেশন দুর্নীতি মামলায় অনেকে জামিন পেলেও এখনও জামিন পাননি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এরই মধ্যে আদালতে এই মামলায় তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। তাতে জ্যোতিপ্রিয়র যে চাপ আরও বাড়বে তা বলা যায়। কারণ কেন্দ্রীয় সংস্থা দাবি করেছে, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে অন্তত ১ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত অন্যতম তিন অভিযুক্তর জামিন আগেই মঞ্জুর করেছে ইডির বিশেষ আদালত। এরা হলেন, চালকল ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান, বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য এবং ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস। তিনজনেই রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু জ্যোতিপ্রিয় এখনও জেলবন্দি। এদিকে ইডি নয়া চার্জশিটে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর লেনদেন বিষয়ে বিস্ফোরক কিছু তথ্য দিয়েছে।
ইডি আদালতে ১৫৭ পাতার চার্জশিট জমা দিয়ে অন্তত তিন হাজার নথি জমা দিয়েছে। তারা এও উল্লেখ করেছে, রেশন দুর্নীতির বেআইনি লেনদেন কমপক্ষে ৩৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে হয়েছে। সেই তথ্যও তাঁদের হাতে এসেছে বলে দাবি করেছেন ইডি আধিকারিকরা।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আরও দাবি, দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত আনিসুর এবং আলিফের মাধ্যমেই হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ তথা বাকিবুর রহমানের আত্মীয় হলেন দুই ভাই আনিসুর ও আলিফ।
স্বাস্থ্যের অবনতির কথা বলে এর আগে একাধিকবার জামিনের আবেদন করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে শেষবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আদালত জ্যোতিপ্রিয়কেই জামিনের আর্জি প্রত্যাহার করে নিতে নির্দেশ দেয়।
ইডি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্বাস্থ্যের বিকল্প যে রিপোর্ট পেশ করেছিল তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল, জ্যোতিপ্রিয় আগের থেকে ভাল আছেন। জামিন অত্যাবশ্যক, এমন কোনও পরিস্থিতিই নেই। কলকাতা হাইকোর্ট এই রিপোর্ট দেখার পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরামর্শ দেয়।