পিয়ালী মুখার্জী : ২২ শে এপ্রিল প্রতি বছর পালিত হয় আর্থ ডে বা বসুন্ধরা দিবস। অর্থাৎ পৃথিবীর দিন। পৃথিবীর জন্ম ঠিক কি ভাবে হয়েছিল তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা নানা মত দিয়ে থাকেন। মোটামুটি ভাবে বলা যায় আজ থেকে প্রায় পাঁচশো কোটি বছর আগে আমাদের পৃথিবীর জন্ম হয়েছিল।
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির দশ হাজার কোটি সমৃদ্ধ নক্ষত্র সূর্যের শহরে আমাদের সৌর জগতের অবস্থান একটি বিন্দুর মতো। মহাবিশ্বে আমাদের পৃথিবীটা একটা বালুকনার চেয়েও ক্ষুদ্রতর। পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার পর কোটি কোটি বছর ধরে এখানে কোনো প্রানের অস্তিত্ব ছিলো না। না ছিলো কোনো প্রাণী না ছিলো কোনো গাছপালা। ধীরে ধীরে পৃথিবীর উত্তাপ কমে প্রাণীমন্ডলের সৃষ্টি হয়েছে।
১৯৭০ সালে প্রথমবার বসুন্ধরা দিবস বা আর্থ ডে পালিত হয়। বিশ্বকে দূষণ মুক্ত ও সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে ১৯৬৯ সালে সানফ্রান্সিস্কোর ইউনেস্কোর সভায় দিনটি সূচনা করেন শান্তিদূত জন ম্যাকপলেন। ২১ শে মার্চ দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও ১৯৭০ সালে মার্কিন সেনেটর এলট নেলসন ডেনিস হেইসের উদ্যোগে প্রতিবছর ২২ শে এপ্রিল দিনটি পালন করা হয়।
এই দিনটি পালন করার পেছনে একটি ঘটনা আছে। ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দের ২৮ শে জানুয়ারী ক্যালিফোর্নিয়ার সন্তা বারবারা সমুদ্র উপকূলের কাছে হঠাৎই তেল বার হতে শুরু করে। ৩০ লক্ষ গ্যালনের বেশি তেল সেই সময় বেরোয়। ফলে দশ হাজার সামুদ্রিক প্রাণী ডলফিন, সিল সহ সমুদ্রের ছোটো বড় মাছের মৃত্যু হয়। এর পরই পৃথিবী ও পৃথিবীর প্রাণীমন্ডলকে বাঁচাতে জোটবদ্ধ হন পরিবেশপ্রেমী মানুষেরা। সেই থেকেই পালিত হয় এই দিবস।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে জলবায়ুর পরিবর্তন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ জর্জরিত। এমন প্রেক্ষাপটে প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ও পৃথিবীকে নিরাপদ ও বসবাস যোগ্য রাখতে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজকের এই দিনটি পালন করা হয়। এই পৃথিবীকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে যাওয়াই এই লড়াইয়ের মূল উদ্দেশ্য।