আজ ৮ অক্টোবর, পঞ্চমী। দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে । মহালয়ার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে মানুষের ঢল নামা শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্যতিক্রম নেই জেলার পুজোগুলোতেও।
জেলার পুজোগুলোর মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি যে পুজো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা হল সোদপুর, পানিহাটির শহিদ কলোনীর সার্বজনীন পুজো কমিটির পুজো। এবছর ৭৫ বছরে পা রাখল এখানকার পুজো। আর সেই উপলক্ষে মূল আকর্ষণ ১০৭ ফুটের মা দুর্গা। শুধু মা দুর্গা নয়। সঙ্গে রয়েছেন এক চালাতেই তাঁর সন্তানরা। অর্থাৎ লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক।
এই বছর বাংলার সবথেকে বড় দুর্গা তৈরির তকমা পেয়েছে সোদপুরের ধানকল বাস স্ট্যান্ড শহিদ কলোনি সর্বজনীন। এই বছর তাদের পুজো ৭৫ বছরে পা দিয়েছে। তাদের এ বারের পুজোর থিম ‘৭৫-এ একশো’।
শুধু চমক কিন্তু মায়ের থিমেই নয়। মণ্ডপের ভেতরেই বিষ্ণুর ১০ রকমের অবতারকে তুলে ধরা হয়েছে সুন্দরভাবে। এছাড়াও ইতিহাসকে তুলে ধরা হয়েছে পুরো মণ্ডপ জুড়ে।
আজ থেকে প্রায় ৪ মাস আগে এখানকার পুজোর প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছিল। ২০১৫ সালে দেশপ্রিয় পার্কের ৮৮ ফুটের মা দুর্গাকেও কিন্তু ছাপিয়ে গেছে এখানকার মায়ের প্রতিমা।
এই প্রতিমা তৈরি করেছেন শিল্পী চিরঞ্জিত দাস। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরেই এই প্রতিমা ও মণ্ডপ তৈরির কাজ করা হচ্ছিল। মূলত ফাইবার দিয়েই তা তৈরি হয়েছে এই ১০০ ফুটের মা দুর্গাকে ।’
তবে চমক মূলত সন্ধেবেলায়। কারণ প্রায় ১৬ রকমের আলোর ঝলমলানিতে ফুটে উঠবে মা ও তাঁর সন্তানদের মুখ।
মণ্ডপে ঢুকলেই দেখতে পাবেন চারিদিকে কাঁচের অসংখ্য ব্যবহার। এছাড়াও লাইটের নানারকম বৈচিত্র্য চোখে পড়বেই আপনার। বিষ্ণুর ১০ অবতারকে গোটা মণ্ডপের চারধার ধরে তুলে ধরা হয়েছে। আর তা দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমছে অসংখ্য মানুষের।
মায়ের পুজোর মধ্যেও বিচারের পক্ষে সওয়াল করছেন শহিদ কলোনী পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক তন্ময় দাস। তিনি বলছেন, ”সারা দেশ, বিশ্বের মত আমরনা শহিদ কলোনীর পুজো কমিটিও বিচারের পক্ষে সওয়াল করছি। অবশ্যই দোষীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ। আমরা এই কদিন মায়ের কাছেও বিচার চাইব। তাই সবাই আসুন আমাদের পুজো দেখুন। সর্বস্তরের মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত। আমরা তো কাউকে কাঁদিয়ে বিচার চাইতে পারি না। তাই সবাই আসুন, বিচারের দাবিও থাকুক। পুজোও উপভোগ করুন।’
কিভাবে মন্ডপে পৌঁছাবেন ?
বাসে করে যদি আপনারা আসেন, তবে পানিহাটি ধানকল বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে আপনাদের। এছাড়া ট্রেনে আসলে সোদপুর স্টেশনে নেমে টোটোতে শহিদ কলোনী বড় পুজোর মাঠ আসতে হবে।